chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সিআরবির প্রবেশ মুখে বসছে গেট

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরীর ফুসফুস খ্যাত সিআরবি এলাকার তিন রাস্তা মুখে বসানো হচ্ছে গেট। অযাচিত গাড়ির প্রবেশ এবং জনসমাগম কমানোর লক্ষ্যে এটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে নির্মানাধীন তিন গেটের মধ্যে একটি বসানো হচ্ছে কদমতলীর পেট্রল পাম্পের পাশে। ইতোমধ্যে দুইটি পিলারের কাজ সেখানে সম্পন্ন হয়েছে।

পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন চট্টলার খবরকে বলেন, সিআরবি ভিতর দিয়ে বড় বড় গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া অতিরিক্ত জনসমাগম সিআরবির পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা গেট নির্মাণ করছি মূলত অযাচিত মানুষের চলাচল ও গাড়ির যাতায়াত সীমিত করার লক্ষ্যে। তবে এখনি সেটা বন্ধ হবে বিষয়টি এমন না।

যদিও গেট নির্মাণকে ভালো চোখে দেখছেন না রাজনৈতিক,সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অনেকেই। চট্টগ্রাম গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক ও সংস্কৃতিকর্মী হাসান মারুফ রুমী বলেন, সিআরবি জনগণের সম্পত্তি। এটা উম্মুক্ত থাকায় বাঞ্ছনীয়। এখানে গেট দিয়ে জনগণের চলাচলে বাঁধা দেয়ার অধিকার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রাখেনা। তারা সিআরবির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করতে চাই। গেট নির্মাণের আড়ালে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।

পরিবেশবিদ ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী বলেন, অতিরিক্ত গাড়ি এবং জনসাধারণের অবাধ বিচরণ রোধ করার উদ্দেশ্যে যদি গেট নির্মিত হয় তবে সেটা সিআরবির ইকো সিস্টেমের জন্য ভালো। আমি গেট নির্মাণকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এর পেছনে যদি অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকে তবে সেটা বর্জনীয় এবং ঘৃণিত কাজ হবে।

জানা যায়, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি যে কয়টি ঐতিহাসিক ভবন আছে তার মধ্যে সিআরবি অন্যতম। শুরু থেকেই এটি বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চলীয়) মহাব্যবস্থাপকের নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়। সিআরবির সবুজ আঙ্গিনায় বন্দরনগরীর প্রাচীনতম ভবন হিসেবে পরিচিত এই কার্যালয়।

জেএইচ/এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর