হৃদরোগ প্রতিরোধে খেতে পারেন মাছের তেল
চট্টলা ডেস্ক: মাছের তেল বা চর্বিতে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের চমৎকার উৎস, যেটা চর্বির ক্ষতিকর উপাদানমুক্ত। এতে আছে ডিএইচএ। এটি রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়, নির্বিঘ্নে রক্ত সরবরাহ করে এবং রক্তের ক্ষতিকর চর্বিকে রক্তনালিতে জমতে বাধার সৃষ্টি করে। নিয়মিত তেলযুক্ত মাছ খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা এক-তৃতীয়াংশ কমে আসে। ফলে হৃদরোগ প্রতিরোধে এটি খুবই কার্যকর।
মাছের ক্যালরি নির্ভর করে তার চর্বি ও মাত্রার উপর। এই মাত্রা আবার ঋতু বিশেষে কমবেশি হয়ে থাকে। মাছের ডিম পাড়ার সময় হলে মাছের তেল বাড়ে, তখন ক্যালরিও বেড়ে যায়। মাছে উচ্চ জৈবমূল্যের প্রোটিন রয়েছে শতকরা ১৬-২০ ভাগ। মাছকে সম্পূর্ণ প্রোটিন বলা হয়। আবার মাছের চর্বি অসম্পৃক্ত চর্বি যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়া মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা রক্তের কোলেস্টেরলকে রক্তনালীতে জমতে দেয় না।
মাছের তেলে রয়েছে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান, যা মানবদেহে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। ছোট কাঁটাযুক্ত মাছকে ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস বলা হয়ে থাকে। এ ছাড়া মাছে আমিষ ও ওমেগা-৩ চর্বির পাশাপাশি রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ফসফরাস, যা দাঁত, পেশি ও হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মাছের তেলে ভিটামিন এ ও ডি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস ঘাটতিতে ছোট মাছ কাঁটাসহ চিবিয়ে খেলে ভালো। এছাড়া সামুদ্রিক মাছে রয়েছে আয়োডিন যা থাইরয়েডর রোগীদের জন্য উপকারী। মাছের তেল প্রোস্টাগ্লাভিন নামে একটি রাসায়নিক গঠনে বাধা দেয় যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এছাড়া মাছ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। তাই প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ২৫ গ্রাম করে মাছ খাওয়া উচিত।
সিশা/এমকে/চখ