ক্যান্সার হাসপাতাল-চট্টগ্রামবাসীর বিশাল প্রাপ্তি
চট্টলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ক্যান্সার হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট নির্মাণের যে মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা চট্টগ্রামবাসীর জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।
এ ক্যান্সার হাসপাতাল চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবায় আশার আলো বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন।
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকালে মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সাথে মতবিনিময় শেষে ক্যান্সার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এমন্তব্য করেন।
সুজন বলেন, হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের সকল জেলার ক্যান্সার রোগীরা এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা পাবে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরেই জেলায় দ্বিতীয় বৃহত্তম হাসপাতাল চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল। কোভিড চিকিৎসায়ও মা ও শিশু হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
কোভিডের ভয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যখন জনগনের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো সে ক্রান্তিলগ্নে চট্টগ্রামের জনগনের চিকিৎসাসেবায় ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলো চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল।
পরিচালনা পর্ষদ তাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে হাসপাতালটি পরিচালনা করছে। বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে যেখানে চিকিৎসা ব্যয়ের ভয়ে রোগীর আত্নীয়স্বজন আঁতকে উঠে সেদিক থেকে চট্টগ্রামের সকল শ্রেণীপেশার মানুষের নির্ভরতার জায়গা এই হাসপাতালটি।
বর্তমানে মা ও শিশু হাসপাতালের অধীনে ক্যান্সার হাসপাতাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
ক্যান্সার হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজের বিত্তবানদের পাশাপাশি তাই সর্বস্তরের জনগনকে সাধ্যমতো এগিয়ে আসার আহবান জানান সুজন। তিনি ক্যান্সার হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জমি বরাদ্দ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
তিনি হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার লক্ষে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানান।
হাসপাতালটির কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষে নাগরিক উদ্যোগ এবং পরিচালনা পর্ষদকে সাথে নিয়ে যৌথভাবে রোড শো পরিচালনার কথাও ঘোষণা করেন সুজন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ এম.এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার লায়ন মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারি মো. রেজাউল করিম আজাদ, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রহমান মিয়া, পরিচালনা পর্ষদের কার্যনির্বাহী সদস্য কায়েস আহমেদ ভুঁইয়া, মো. হারুন ইউসুফ, এ.এস.এম জাফর, মো. শাহজাহান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি এম ইমরান আহমেদ ইমু প্রমূখ।
চখ/আর এস