বই পড়ার ৫ উপকারিতা
চট্টলা ডেস্ক: একটি বই মূলত আপনাকে যে বার্তাটি দেয়, সেটি হল নিজের নীতিতে অটল থাকার। এ কারণে নানা ধরণের মানসিক পীড়া থেকে মুক্তি মেলে আর মন পুরো পরিশুদ্ধ নতুনের মতো হয়ে যায়। আসুন তাহলে আজ জেনে নিই বই পড়ার ৫ উপকারিতা।
১. মূল্যবান জ্ঞান অর্জন করা যায়: প্রতিদিন পড়ার সবচেয়ে সুস্পষ্ট সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল শেখা।”আপনি যদি জীবনে কোথাও যেতে চান তবে আপনাকে প্রচুর বই পড়তে হবে। মানবজীবনের জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই , আর সেই জ্ঞান এর সবচেয়ে বড় ভান্ডার হল বই। ধরুন আপনি গুগল এ চাকরি পেতে চান, কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে গুগলে চাকরি পেতে হয় কিংবা এর জন্য কি কি দক্ষতার প্রয়োজন পরে । তখন যদি আপনি গুগল এর চাকরি করছে এমন একজনের আত্মজীবনী পড়ে ফেলেন তাহলে হয়তো আপনার জন্য বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে।
২. মস্তিষ্ক কার্যক্ষমতা বাড়ায়: বই আমাদের চিন্তা করতে সাহায্য করে। আমরা যখন কোন গল্পের বই পড়ি, তখন সেই গল্পের চরিত্র গুলো আমাদের কল্পানায় ভেসে উঠে এতে আমাদের মস্তিষ্ক কোন বিষয়ে আরো গভীর ভাবে চিন্তা করতে পারে।
৩. মনোযোগ বাড়ায়: আমাদের ব্রেন প্রতিদিন প্রায় ৭০-৬০ চিন্তা করে । করে যার ফলে আমরা কোন বিষয়ে গভীর ভাবে একটা টানা মনোযোগ দিতে পারি না। হাজার হাজার চিন্তার ফলে ব্রেন কিছুটা দুর্বল হয়ে পরে।
কিন্তু বই পড়ার সময় আমাদের নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে অনেকক্ষন চিন্তা করা লাগে। এতে আমাদের মনোযোগ বাড়ে।
৪. শব্দভাণ্ডার বাড়ায়: বর্তমানে যার শব্দভাণ্ডার যতবেশি তার কমিউনিকেশন স্কিল ততভালো। নিজের ভাইভা কিংবা ইন্টারভিউ বোর্ডে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই।
৫.নতুন নতুন জিনিস শেখা যায়: বই পড়ার মাধ্যমে আমরা নতুন নতুন টেকনোলজি ,ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদির মাধ্যমে পরিচিত হতে পারি । বলা হয় পৃথিবীর জ্ঞানই ফেলনা নয়। তাই বই পড়ার মাধ্যমে নিজের জ্ঞানের খুঁটি আরো বেশি শক্ত করা যায়।
এএইচ/এমকে/চখ