ডেস্ক নিউজ: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ম্যাচের ফলাফল। ১২৬ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে লজ্জা এড়াতে দরকার ছিল ৩৯৫ রান। কিন্তু লিটন দাস ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে না পারায় ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
তবে নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের প্রত্যাশা তেমন ছিল না। কিন্তু প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত খেলার পর দ্বিতীয় ম্যাচ নিয়েও বাড়তি পরিকল্পনা ছিল মমিনুলদের।
হ্যাগলি ওভালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ১১৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়েও ওই রানে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ।
আগের দিন ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামে। ৪৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অবশ্য এদিন খেলছিলেন বেশ দারুণ। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল ছাড়ছিলেন তিনি। কিন্তু হুট করেই খেই হারান। খোঁচা দিয়ে আউট হন সাউথির বলে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন টম ল্যাথাম। ৯৮ বলে ২৪ রান করেন নাঈম।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আশা দেখিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৬ বলে ২৯ রান করে শান্ত ও ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুমিনুল। যাওয়া আশার মিছিলে আশার আলো হয়ে থাকেন লিটন দাস। দারুণ সব শট খেলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গও দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
কিন্তু হুট করে তিনিও আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হন। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে সোহান ড্যারেল মিচেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নেইল ওয়েগনারের হাতে।
এর ফাঁকে নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করে নেন লিটন। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। তার আউটের সঙ্গে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশও। অলআউট হয়ে যায় ২৭৮ রানেই। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এবাদতের উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন রস টেইলর।
চখ/নচ/চখ