chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সর্ব রোগের ঔষধ সুরা ফাতিহা

চট্টলা ডেস্ক: সূরা ফাতেহা পবিত্র কোরআনুল কারিমের প্রথম সূরা। সূরাটি কোরআনের নির্যাস। কোরআনের বাকি ১১৩টি সূরা আসলে সূরা ফাতেহারই ব্যাখ্যা। যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরত্বপূর্ণ দোয়া ও রোগ থেকে মুক্তির শেফা।

এটি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুওয়াত লাভের একেবারেই প্রথম যুগের সূরা। হাদীসের নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটিই মুহাম্মাদের (সা.) ওপর নাযিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সূরা। এর আগে মাত্র বিচ্ছিন্ন কিছু আয়াত নাযিল হয়েছিল।

ফাতিহা শব্দটি আরবি “ফাতহুন” শব্দজাত যার অর্থ “উন্মুক্তকরণ”। এ সূরার বিষয়বস্তুর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই এর এই নামকরণ করা হয়েছে। যার সাহায্যে কোন বিষয়, গ্রন্থ বা জিনিসের উদ্বোধন করা হয় তাকে ‘ফাতিহা’ বলা হয়। অন্য কথায় বলা যায়, এ শব্দটি ভূমিকা এবং বক্তব্য শুরু করার অর্থ প্রকাশ করে।

আল্লামা ইবনে জরীর (রাঃ) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলে কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, সূরা ফাতিহা অর্থাৎ আলহামদু শরীফ হচ্ছে, উম্মুল কোরান, ফাতিহাতুল কিতাব, সাবউমাছানি। এ সূরার আরেকটি নাম হচ্ছে “সূরায়ে কাঞ্জ” (ভাণ্ডার)। হযরত আলী (রা.) হতে ইসহাক ইবনে রাওয়াহা (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, এ সূরাটি আরশের নিম্নস্থিত ভাণ্ডার থেকে অবতীর্ণ হয়েছে।

একজন সাহাবী বর্ণনা করেছেন যে, তিনি একবার হযরত মুহাম্মদ (স:) এর উপস্থিতিতে এই সূরাটি তেলাওয়াত করেছিলেন, মহানবী (স.) বলেছিলেন, “যার হাতে আমার প্রাণ, তার দ্বারা এ জাতীয় অনুরূপ কিছু তাওরাতে, ইনজিল, জাবুর বা এমনকি কোরআনও অন্তর্ভুক্ত হয়নি।”

মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ লিপিবদ্ধ করেছেন আবু হুরায়রাহ বলেছিলেন যে মুহাম্মাদ (সঃ) বলেছেন:
কেউ যদি এমন নামায বা ইবাদত দেখে যেখানে সে উম্মুল কুরআন (সুরা ফাতিহা) তিলাওয়াত করে না, তবে এই ইবাদতে ঘাটতি রয়েছে এবং তা সম্পূর্ণ হয় না।–সহিহ মুসলিম।

সিশা/এমকে/চখ