চট্টগ্রামে আইনজীবীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ এনে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে চট্টগ্রামের এক সাংসদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার অভিযোগে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসকেএম তোফায়েল হাসান এই আদেশ দেন। সাতকানিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুসেইন কবির বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এই মামলার আসামি মো. কামাল উদ্দীন চট্টগ্রাম জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ও দক্ষিণ জেলা জেলা যুবলীগের আইনবিষয়ক সহ-সম্পাদক বলে জানা যায়।
ফেসবুক পোস্টে কামাল লিখেছিলেন, ‘আমি মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, এডভোকেট এন্ড এডিশনাল পিপি, চট্টগ্রাম জজ কোর্ট ও সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক, চট্টগ্রাম ক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুবলীগ। আসন্ন ১৭ নম্বর সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাইয়ে দেবেন বলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হুসেইন কবির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা জনাব আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন আহমে এমপির নাম দিয়ে আমার কাছ থেকে পনের লাখ টাকার চেক নিয়েছেন।’
এই স্ট্যাটাসে বোয়ালখালীর সাংসদ মোছলেম উদ্দীনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে বলে মামলার বাদি হুসেইন কবির জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী মির্জা কচির উদ্দীন চট্টলার খবরকে বলেন, সাংসদের বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মিথ্যা ভিত্তিহীন স্ট্যাটাস দেওয়া ডিজিটাল আইনে মামলা হয়েছে। আদালত পিবিআইকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন।
চট্টলার খবরকে মামলার বিষয়ে কামাল উদ্দীন বলেন, সাতকানিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে। আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মনোনয়ন পাইয়ে দিবে বলার পর আমি টাকা দিয়েছি। কিন্তু কেন্দ্রে আমার নামটা পর্যন্ত পাঠানো হয়নি। আমি সৎ সাহস থেকেই ফেসবুকে পোস্ট করেছি। একজন আইনজীবী হিসেবে এ ষড়যন্ত্রমূলক মামলা আইনভাবে মোকাবেলা করব।
এক প্রশ্নের উত্তরে এই আইনজীবী বলেন, অবশ্যই এটি দলীয়ভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল। কিন্তু এর আগে দলীয় পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সৎ’ সাহসের অভাবে আলোচনায় বসতে পারেনি তারা।
আরকে/এমকে/চখ