chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফলোঅনের লজ্জায় টাইগাররা

ক্রীড়া ডেস্ক: ক্রাইস্টচার্চে ৬ উইকেটে ৫২১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। রানের পাহাড়ে চাপা পড়ে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৭ রানের মাথায় পাঁচ ব্যাটার হারানোর পরে প্রায় নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ ফলোঅনে পড়তে যাচ্ছে। অপেক্ষা ছিল কোনো মিরাকলের। না কোনো মিরাকল ঘটেনি। বাংলাদেশ ১২৬ রানে অলআউট হয়েছে। আর সেই সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের খেলাও শেষ হয়েছে।

টিম সাউদি আর ট্রেন্ট বোল্টের গতি এবং সুইংয়ের সামনে টাইগার ব্যাটারদের যেন কোনো জবাবই ছিল না। সাউদির তিন উইকেটের সঙ্গে জেমিসন নিয়েছেন দুটি আর বাকি পাঁচটি ঝুলিতে তুলেছেন ট্রেন্ট বোল্ট। ক্যারিয়ারে এটি বোল্টের ৯ম টেস্ট ফাইফার।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান আসে ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাট থেকে আর নুরুল হাসান সোহান করেন ৪১ রান। এছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরেও পৌঁছাতে পারেননি। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৮ রান এসেছে লিটন দাসের ব্যাট থেকে।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের কাছে হারিয়েছে ওপেনার সাদমান ইসলামের উইকেট। সাদমান ৮ বল খেলে করেন ৭ রান। আর ফেরেনও দলীয় ৭ রানেই। আর পরের ওভারে টিম সাউদি এসে রানের খাতা খোলার আগেই তুলে নেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা নাঈম ফেরেন শূন্যতে। দলীয় রান তখন ১১। এরপর ৬ষ্ঠ ওভার পর্যন্ত আর কোনো রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেনি বাংলাদেশ। ৬ষ্ঠ ওভারে বোল্টের করা দ্বিতীয় বলে নাজমুল হাসান শান্ত ফেরেন ১২ বলে ৪ রান করে।

পরের ওভারে টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক ৮ বল খেলে কোনো রান করার আগেই টিম সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এতেই মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ ওভারে ২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

চা-বিরতি থেকে ফিরে দ্বিতীয় বলে টড়েন্ট বোল্টের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। ১৮ বলে ৮ রান করে লিটন যখন ফিরছেন তখনও বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে রান মাত্র ২৭। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ইয়াসির আলী রাব্বি এবং নুরুল হাসান সোহান। ৬০ রানের এই জুটি ভাঙে সোহান ফিরলে। সাউদির বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে সোহান ফেরেন ৬৩ বলে ৪১ রান করে। আর এর সাথেই মিরাকলের সব আশাও শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের।

এরপর মিরাজ ৩৩ বলে ৫ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হন। তারপর একেএকে তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলী রাব্বি এবং শরিফুল ফিরলে বাংলাদেশ থামে ১২৬ রানে। এর মধ্যে শেষ উইকেট হিসেবে শরিফুলকে আউট করার মধ্য দিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট শিকার করেন বোল্ট।

এর আগে হ্যাগলি ওভালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক টম লাথামের ২৫২ এবং ডেভন কনওয়ের শতকে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনে চা-বিরতির আগেই ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ।

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড

প্রথম ইনিংস

নিউজিল্যান্ড: ১২৮.৫ ওভার; ৫২১/৬ ইনিংস ঘোষণা; (লাথাম ২৫২, ইয়ং ৫৪, কনওয়ে ১০৯, টেইলর ২৮, নিকোলস ০, মিচেল ৩, ব্লান্ডেল ৫৭*, জেমিসন ৪*)); (তাসকিন ৩২.৫-৫-১১৭-০, শরিফুল ২৮-৯-৭৯-২, ইবাদত ৩০-৩-১৪৩-২, মিরাজ ৩১-২-১২৫-০, শান্ত ৪-০-১৫-০, মুমিনুল ৩-০-৩৪-১)।

বাংলাদেশ: ৪১.২ ওভার, ১২৬/১০; (সাদমান ৭, নাঈম ০, শান্ত ৪, মুমিনুল ০, লিটন ৮, ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১, মিরাজ ৫, তাসকিন ২, শরিফুল ২, ইবাদত ০*); (সাউদি ১২-৪-২৮-৩, বোল্ট ১৩.২-৩-৪৩-৫, জেমিসন ৯-৩-৩২-২, ওয়াগনার ৭-১-২৩-০)।

বাংলাদেশ পিছিয়ে ৩৯৫ রানে।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর