মালদ্বীপে প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত বাংলাদেশিরা
চট্টলা ডেস্ক: মালদ্বীপে কর্মরত এক লাখ বাংলাদেশির অর্ধেকই অবৈধ। তাই প্রাপ্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। তবে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন মালদ্বীপ সফরে সমাধান আসতে পারে এ বিষয়ে।
নীল সাগর পাড়ের ছোট্ট দেশ মালদ্বীপ। এখানে বিলাসবহুল রিসোর্টে অবকাশ যাপনে আসেন বিশ্বের বিত্তশালীরা। এমনই এক রিসোর্টের জন্য মালপত্র বয়ে নিতে তীরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি যুবক মোবারক। আপাত সুন্দর-সুখী এমন দৃশ্যপটের আড়ালেই রয়েছে হাজারো করুণ কাহিনী।
বিদেশে হাড় ভাঙা পরিশ্রমের পরও জোটে না মানসম্মত খাবার। ছোট্ট খুপড়ি ঘরে থাকতে হয় গাদাগাদি করে। যেখানেই চলে যায় আয়ের এক তৃতীয়াংশ। পেছনের কারণ, অবৈধ শ্রমিক হওয়ায় পারিশ্রমিক মেলে কম।
বৈধ কাগজ না থাকায় ন্যূনতম সুবিধা থেকেও বঞ্চিত মালদ্বীপের ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক। নেই চিকিৎসা সেবাও। দেশে টাকা পাঠাতে দিতে হয় বাড়তি খরচ। এছাড়া বৈধ হতে হলে মালদ্বীপের নিয়োগকর্তার নিয়োগপত্র লাগে। সেখানে দিতে হয় লাখ টাকার বেশি। মাঝে মাঝে হতে হয় প্রতারিতও।
মালদ্বীপে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, দু’দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি হলে এ সমস্যা একেবারেই থাকবে না।
মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল মো. নাজমুল হাসান জানান, মালদ্বীপে শ্রম আইনের পরিবর্তন না হলে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না ন্যূনতম মজুরি। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে শ্রমিকদের সমস্যা-সমাধানে আলোচনা হবে।
২০১৯ সালের পর থেকে বন্ধ আছে মালদ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমিক পাঠানো। তবে সেখানে বৈধভাবে আছেন ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি।
এমকে/চখ