chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ওমিক্রনকে রুখতে ১৫ নির্দেশনা জারি

চট্টলা ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ঠেকাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর বিকেলে এক তথ্য বিবরণীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনার কথা জানায় তথ্য অধিদপ্তর ।

যেসব নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর:

১-দেশের বন্দরগুলোতে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।

২-সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

৩-বাড়ির বাইরে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৪-রেস্তোরাঁয় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক বসে খেতে পারবে।

৫-সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল/থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক অংশ নিতে পারবে।

৬-মসজিদসহ সকল উপাসনালয়ে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

৭-গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

৮-আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৯-সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদরাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

১০-সকল স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবাপ্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

১১-যারা এখনও কভিড টিকা নেননি, টিকাকেন্দ্রে গিয়ে তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

১২-কভিডের উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কোভিড রোগীদের আইসোলেশন এবং কোভিড রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৩-কভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে সহায়তা করতে হবে।

১৪-অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে; সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে। টিকা নেওয়া থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

১৫-কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচার চালানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মসজিদ/ মন্দির/ গির্জা/প্যাগোডার মাইক ব্যবহার করা যেতে পারে এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর/ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।
নির্দেশনাসমূহ দেশব্যাপী কঠোরভাবে পালনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগ সকলের প্রতি আহŸান জানিয়েছে।

এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর