কক্সবাজারে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে অভিযুক্ত আশিক আনোয়ারায় গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিনিধি : কক্সবাজারের একটি হোটেলে এক স্কুল ছাত্রীকে দুদিন আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব। অভিযানে গ্রেফতার হয় ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি মো. আশিক।
এতথ্যটি মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার।
তিনি জানান, গতকাল সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী চৌমুহনী এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আশিককে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে গত ১৮ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ওই কিশোরী (১৪) কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা।
আসামিরা হলেন-কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মো. আশিক (২৭) ও তার মা রাজিয়া বেগম (৫৫), বাবা নজরুল ইসলাম (৬০), ভাই মো. কামরুল (৩৪) এবং শহরের ঝাউতলা গাড়ির মাঠ এলাকার মো. হায়দার ওরফে হায়দার মেম্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন (৪০)।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে আশিকসহ ৩/৪ জন যুবক জোর করে গাড়িতে তুলে কক্সবাজারে নিয়ে আসে।
পরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে মমস গেস্ট হাউজে নিয়ে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর উপ-অধিনায়ক তানভীর হাসান জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে র্যাব জানতে পারে অভিযুক্ত প্রধান আসামি মোহাম্মদ আশিক কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবস্থান করছেন।
সেখানে অভিযানে গেলে র্যাব পৌঁছার আগেই তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। পরে ধাওয়া করে তাকে আনোয়ারা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি প্রধান আসামি আশিকের ভাই মো. কামরুল এবং ‘ধর্ষণের’ ঘটনাস্থল মমস গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহীনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
চখ/আর এস