chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

পরিচয় মিলেছে ৩ ধর্ষকের : আটক হোটেল ম্যানেজার

কক্সবাজারে পর্যটককে গণধর্ষণ

বিভাগীয় ডেস্ক : কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে হোটেলে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকেই শনাক্ত করা গেছে সিসি ক্যামেরার ভিডিও দেখে।

এ ঘটনায় লাইট হাউস এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামক হোটেলের ম্যানেজার রিয়াজ উদ্দিন ছোটন (৩৩)কে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- কক্সবাজার শহরের মধ্যম বাহারছড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আশিকুল ইসলাম (২৩), মোহাম্মদ শফিক প্রকাশ গুন্ডা ওরফে শফির ছেলে ইসরাফিল হুদা জয়া।

তবে অপরজনের পরিচয় জানাতে পারেনি র‌্যাব। তবে অন্যজন আবুল কাসেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু ওরফে গুন্ডায়া বাবু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিপিসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।

ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে ভিকটিম নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শনাক্ত তিনজনকে ছাড়াও আটক হোটেল ম্যানেজার এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু্ই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাতে শহরের লাবণী পয়েন্ট থেকে নারী পর্যটককে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে। খবর পেয়ে শহরের লাইট হাউস এলাকার জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেল থেকে ওই পর্যটককে উদ্ধার করে র‌্যাব।

ভুক্তভোগী ওই নারী সাংবাদিকদের জানান, বুধবার সকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। ওঠেন শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে। বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে যান।

সেখানে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে, কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তার ৮ মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিনজন।

এর পর তাকে নেয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাকে ধর্ষণ করেন ওই তিন যুবক। ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।

ওই নারী আরও জানান, জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে এক যুবকের সহায়তায় কক্ষের দরজা খোলেন তিনি। তার পর ফোন দেন ৯৯৯-এ। পুলিশ তাকে থানায় সাধারণ ডায়রি করার পরামর্শ দেয়।

তার পর পাশের একজনের সহযোগিতায় কল দেন র‌্যাবকে। তারা এসে তাকে উদ্ধার করে। তার স্বামী ও সন্তানকে উদ্ধার করা হয় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর