chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা : আসার কথা আপেল,এলো সিগারেট

নিজস্ব প্রতিবেদক : আপেল আমদানির ঘোষণা দিয়ে হিমায়িত কন্টেইনারে বিশেষভাবে লুকিয়ে আনা হয়েছে উচ্চশুল্কের বিদেশি সিগারেট। এ চালানে পাঁচ কোটি ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছিল।

তবে কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষের গোপন নজরদারী তা রুখে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার আমদানি করা কন্টেইনার খুলে আপেলের মধ্যে লুকানো ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা রেলওয়ে মেন্স সুপার মার্কেট (ফলমন্ডীর) ফল আমদানিকারক মারহাবা ফ্রেশ ফ্রুটস নামক একটি প্রতিষ্ঠানের নামে চালানটি আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

প্রতিষ্ঠানটি আমদানি নথিতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আপেলের পরিবর্তে সিগারেট আমদানি করে। আজ বৃহস্পতিবার শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কনটেইনার খুলে এই সিগারেট জব্দ করেন চট্টগ্রাম কাস্টম কর্তৃপক্ষ। যার মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দীন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জের ডাচ-বাংলা ব্যাংক শাখা থেকে ৬ ডিসেম্বর ঋণপত্র খোলে আমদানিকারক।

গত ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমসে আপেল ঘোষণায় শুল্কায়ন করে আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাদারবাড়ির জিমি এন্টারপ্রাইজ।

মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির বিষয়টি জানতে পেরে আজ চালানটির খালাস কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা। গতকাল চালানের কন্টেইনার খুলে কায়িক পরীক্ষায় ২২ লাখ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়।

এর মধ্যে ৬ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ শলাকা মন্ড, ১৪ লাখ ৮ হাজার ৭২০ শলাকা ইজি এবং ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ শলাকা ওরিস ব্র্যান্ডের সিগারেট পাওয়া যায়।

বাকি ৩৬৬ কার্টনে ১৫ হাজার ৯৮ কেজি ফ্রেশ আপেল এবং ২ হাজার ৪৮৮ কেজি জিপি শিট পাওয়া যায়। এভাবে অবৈধ উপায়ে সিগারেট এনে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।

এই রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানালেন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রিজভী। আমদানিকারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বললেন এ কর্মকর্তা।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর