chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চতুর্থ ধাপের নির্বাচনকে ঘিরে সর্তক অবস্থানে ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: চতুর্থ ধাপের ইউপির আগামী ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার ২৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে বেশ কয়েকটি অনাকাঙিক্ষত ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাকিদদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।
অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্যে রয়েছে কর্ণফুলী, লোহাগাড়া ও পটিয়া উপজেলা। এরমধ্যে পটিয়া উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ও কুসুমপুরায় ইউনিয়নে ভোট হবে ইভিএমে। এই উপজলায় গণসংযোগের সময় প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারি এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এসেছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রার্থীদের প্রচারণার সময় বেশ কিছু উত্তেজনার খবর এসেছে। পটিয়া উপজেলায় দু একটা ঘটনা ঘটেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি। অনেকজনকে শোকজ করার পাশাপাশি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে রির্টানিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়নের অনুমোদন পেয়েছি। এর বাইরে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের প্রয়োজন হলে কমিশনকে জানানো হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, তিনটি উপজেলার মধ্যে কর্ণফুলীতে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের সদস্যরা কাজ করবে। পুলিশ সুপারের অধীনে অন্য দুইটি ইউনিয়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে। এর পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা কাজ করবে। সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য পেলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সদস্য মেতায়েন করা হবে। আগামীকাল সার্কিট হাউসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলে তুলে ধরা হবে।

ভোটারের সংখ্যা: পটিয়া উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নের ১৫৬টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে ৭৯১টি। এর মধ্যে ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ১০৯ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৭ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫১২ জন। কর্ণফুলীর ৪টি ইউনিয়নে ৩৯ টি ভোটকেন্দ্রে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় ২৭৬ টি ভোটকক্ষ রয়েছে। মোট ভোটার রয়েছে ৯৩ হাজার ৯৮০ জন।

তারমধ্যে, পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজার ২১৩ জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছেন ৪৩ হাজার ৭৬৭ জন। অপরদিকে লোহাগাড়ায় ৬টি ইউনিয়নে ৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এসব কেন্দ্রে ভোট কক্ষ রয়েছে ৩৯০ টি। এই উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৫২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ হাজার ৬৮১ এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৬২ হাজার ৮৪৭ জন।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সংখ্যা: পটিয়া উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে ৪৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় পটিয়ার তিনটি ইউনিয়নে মধ্যে বরলিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুল ইসলাম শানু, দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নে মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান ও শোভনদণ্ডী ইউনিয়নে এহছানুল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।এর বাইরে সংরক্ষিত (মহিলা) ওয়ার্ডে ১৩৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫০৮ জন মেম্বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

কর্ণফুলীতে ৪ টি ইউনিয়নে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় এই উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে মোহাম্মদ দিদারুল আলম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত (মহিলা) ৩৯ জন মেম্বার এবং ১৭০ জন সাধারণ ওয়ার্ডে রয়েছেন নির্বাচনের মাঠে।

অপরদিকে, লোহাগাড়ার ৬টি ইউনিয়নে ১৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বড়হাতিয়ায় উপজেলায় বিজয় কুমার বড়ুয়া এবং পুটিবিলা ইউনিয়নে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (মহিলা) ৬১ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে লড়ছেন ২২২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আরকে/এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর