chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শীতল গণিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা

চট্টলা ডেস্ক: শীতকাল ঈমানদারের জন্য বিশেষ গুরুত্বের দাবি রাখে। হাদিস শরিফে আছে, শীতকাল মুমিনের জন্য ইবাদতের বসন্তকাল। আমের ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘শীতল গণিমত হচ্ছে শীতকালে রোজা রাখা।’ (তিরমিজি, হাদিস -৭৯৫)

শীতকালে দিন থাকে খুবই ছোট। তাই শীতকালে রোজা রাখলে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয় না। সুতরাং শীতকালের অন্যতম করণীয় হলো, কারো যদি কাজা রোজা বাকি থাকে, তাহলে শীতকালে সেগুলো আদায় করে নেওয়া। নফল রোজা রাখারও এটি ভালো সময়।

শীতকালে মুমিন বান্দাদের আরেকটি কর্তব্য হচ্ছে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে বছর ঘুরে আসে শৈত্যপ্রবাহ। হাড়-কাঁপানো শীতে দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন মাজীদে আছে, ‘তারা আল্লাহর প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে দরিদ্র, এতিম ও বন্দিদের খাদ্য দান করে।’ (সুরা দাহার, আয়াত-০৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে মুমিন অন্য বিবস্ত্র মুমিনকে কাপড় পরিয়ে দিল, মহান আল্লাহ ওই ব্যক্তিকে জান্নাতের সবুজ কাপড় পরিয়ে দেবেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৪৯)

শীতকালে অজু ও গোসলের ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি। শীতকালে মানুষের শরীর শুষ্ক থাকে। তাই যথাযথভাবে ধৌত না করলে অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় হয় না। আর অজু-গোসল ঠিকমতো আদায় না হলে নামাজ শুদ্ধ হবে না। তাই এ বিষয়ে বিশেষভাবে যত্নবান হতে হবে; এমনকি শীতের মৌসুমে গরম পানি দিয়ে অজু করলেও সওয়াবে কমতি হবে না।

অজুর গুরুত্ব সম্পর্কে মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমি কী তোমাদের এমন কিছু শিখিয়ে দেব না, যার কারণে আল্লাহ পাপ মোচন করবেন এবং জান্নাতে তোমাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন? সাহাবারা বললেন, জি হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল! মহানবী (সা.) বললেন, ওই কাজগুলো হলো মন না চাইলেও ভালোভাবে অজু করা, বেশি পদক্ষেপে মসজিদে যাওয়া এবং এক নামাজের পর অন্য নামাজের জন্য অপেক্ষা করা।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৫১)

অন্যান্য ঋতুর মতো শীতের শুদ্ধাচার মেনে চলাও মুমিন বান্দাদের কর্তব্য।

এমকে/চখ

এই বিভাগের আরও খবর