chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকদের কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর উত্তর পতেঙ্গায় এলপি গ্যাস লিমিটেডে মজুর বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন সেখানকার দক্ষ- অদক্ষ শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে তারা কাজকর্ম বন্ধ রেখে মানববন্ধন করে তাদের দাবি দাওয়া তুলে ধরেন।

জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের আওতাধীন এলপিজি লি. গ্যাস সিলিন্ডারের রিটেস্টিং ও রিফিয়ারিংয়ে কাজে টেন্ডারের মাধ্যমে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে দক্ষ-অদক্ষ শ্রমিকরা কাজ করে আসছেন। ২ বছর পর পর কোম্পানী কৃর্তক দরপত্রের মাধ্যমে নতুন মজুরী বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু নতুন মজুরী জারির ৪ মাস পার হতে চললেও তারা আগের বেতনই পাচ্ছেন।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এলপিজি গ্যাসের শ্রমিক টেন্ডারের কাজটি পায় মেসার্স বলাকা ইন্টারন্যাশনাল নামে ফিরিঙ্গি বাজারের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু করবেন। বর্তমানে মো. হোসেনের মালিকানাধীন শাকিল এন্টারপ্রাইজ স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের অধীনে প্রায় ৪৮ জন শ্রমিক দক্ষ-অদক্ষ হিসেবে দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করছেন।

আগামী ১ জানুয়ারি থেকে নতুন টেন্ডার পেয়েছে মেসার্স বলাকা এন্টারপ্রাইজ নামে এক প্রতিষ্ঠান। গত ১৫ আগস্ট শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ। প্রজ্ঞাপনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় দক্ষ শ্রমিকদের দৈনিক মজুরী নির্ধারণ করা হয় ৬০০ টাকা। এছাড়া অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরী নির্ধারন করা হয় ৫৭৫ টাকা।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের নেতা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নতুন মজুরী নির্ধারণ হওয়ার চার মাস অতিবাহিত হতে চললেও টিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৈনিক মজুরী দিচ্ছেন ৪৮০ টাকা। যা আগের বেতনের চেয়ে ৩৫ টাকা বেশি। কিন্তু আমাদের দেওয়ার কথা ৬০০ টাকা।

তিনি বলেন, নতুন টিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১ জানুয়ারি থেকে কাজ পাচ্ছে। আমরা আমাদের ন্যার্য মজুরী না পাওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাবো।

জানতে চাইলে মেসার্স বলাকা এন্টারপ্রাইজের মালিক লিটন মহাজন বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আমরা ঠিকাদার হিসেবে কাজ করবো। সরকারি টেন্ডারে যতটুকু বেতন নির্ধারিত থাকতে ২০-৩০ টাকা রেখে বাকিটা শ্রমিকদের মজুরী দিয়ে দিবো।

শাকিল এন্টারপ্রাইজের মো. হোসেন বলেন, করোনার কারনে গত বছর টেন্ডার হয়নি। তাই তাদের মজুরী বৃদ্ধিও করা সম্ভব হয়নি। নতুন টেন্ডার দিয়েছে সরকার। সেখানেও শুনেছি সরকারী মজুরীর চেয়ে কম মজুরী দিয়ে টেন্ডার দিয়েছে। মনে হচ্ছে ৫০ টাকার বেশি নতুন টেন্ডার প্রতিষ্ঠানও দিতে পারবে না।

এসএএস/জেএ্ইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর