চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে মুশতারী শফীর মরদেহ, দাফন কাল
নিজস্ব প্রতিবেদক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, উদীচী চট্টগ্রামের সভাপতি, শহীদজায়া ও সাহিত্যিক বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ চট্টগ্রামের এনায়েতবাজার এলাকার বাসায় পৌঁছেছে। ঢাকা থেকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাত পৌঁনে ৯টায় তার মরদেহ চট্টগ্রামের বাসায় পৌঁছেছে।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মরদেহ রাখা হবে। এরপর দুপুরে জানাজা শেষে নগরীর চৈতন্য গলির কবরস্থানে দাফন করা হবে।
উদীচী চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শীলা দাশগুপ্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাতে বেগম মুশতারী শফীর মরদেহ বাসায় রাখা হবে। সকালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য নন্দনকাননের শহীদ মিনারে রাখা হবে।
সেখানে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর নগরীর জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।’
এর আগে গতকাল সোমবার বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যু হয়। কিডনি, রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতার জন্য ২ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
সেখানে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে মেয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ১৪ ডিসেম্বর শারীরিক অবস্থার আবার অবনতি হলে সিএমএইচ হাসপাতালে নেওয়ার হয়।
চিকিৎসকেরা তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করেন। ১৯ ডিসেম্বর তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয় বলে পরিবারকে জানান চিকিৎসকরা।
বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত বেগম মুশতারী নারীনেত্রী ও শব্দসৈনিক। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ এপ্রিল তার স্বামী চিকিৎসক মোহাম্মদ শফী ও ছোট ভাই এহসানুল হক আনসারীকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিক হিসেবে কাজ করেছেন বেগম মুশতারী শফি। মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভূমিকার জন্য ২০১৬ সালে তাকে ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।
২০২০ সালে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া পদক। চট্টগ্রামে নারী অধিকার আদায় ও সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন কাজ করেছেন মুশতারী শফী।
এসএএস/আর এস