chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চলতি বছরে ১১০০ কোটি ডলার কর দেবেন ইলন মাস্ক

ডেস্ক নিউজ: এই বছর এক হাজার একশ’ কোটি ডলার কর দেবেন স্পেসএক্স ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। চলতি বছরে অপ্রদর্শিত আয়ের উপর কর পরিশোধ প্রসঙ্গে নানা নাটকীয়তা আর তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন মাস্ক; তার জেরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অন্য যে কোনো নাগরিকের চেয়ে বেশি কর দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন আলোচিত এই প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।

সম্প্রতি ইলন মাস্ককে ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ ঘোষণা করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী টাইম। মাস্ক ওই খেতাব পাওয়ার পর, সপ্তাহের শুরুতেই টেসলা প্রধানের উদ্দেশ্যে টুইট করেন ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মাস্ককে কর পরিশোধ করে “বাকিদের ঘাড়ে বসে খাওয়া” বন্ধ করতে বলেছেন তিনি।

উত্তরে মাস্ক টুইট করেছেন, “এ বছর ইতিহাসের অন্য যে কোনো মার্কিন নাগরিকের চেয়ে বেশি কর দিতে যাচ্ছি আমি।”

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইলন মাস্ককে। এক লাখ কোটি ডলার বাজারমূল্য ছোঁয়ার পথে রয়েছে টেসলা। মাস্ককে ঘিরে সার্বিক পরিস্থিতিকে ইতিবাচক মনে হলেও নানা বিষয়ে সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি কর পরিশোধের জন্য এক হাজার চারশ’ কোটি ডলারের শেয়ার বেচেছেন তিনি। ওই শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহেও আছে নাটকীয়তা।

বেশ কিছু দিন ধরেই অপ্রদর্শিত আয়ের উপর কর আরোপের প্রসঙ্গে ডেমোক্রেট সিনেটরদের সঙ্গে টুইটার দ্বন্দ্ব চলছে ইলন মাস্কের। রাজনীতিবিদরা বারবার মাস্কসহ ধনী মার্কিন নাগরিকদের অপ্রদর্শিত আয়ের উপর কর আরোপের দাবি তুললেও, মাস্ক টুইটারে সেই দাবির বিরোধীতা করেছেন বেশ জোর গলাতেই।

সর্বশেষ, কর পরিশোধের জন্য টেসলার ১০ শতাংশ শেয়ার বেচে দেবেন কি না, টুইটার ফলোয়ারদের কাছে সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মাস্ক। টুইটার ভক্তদের সমর্থনে নভেম্বর মাসেই টেসলার শেয়ার বেচা শুরু করেন তিনি।

শেয়ার বেচে কর পরিশোধ করতে চাইলেও বিতর্ক আর বিপত্তি যেন পিছু ছাড়ছে না টাইম ম্যাগাজিনের ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’-এর। সম্প্রতি মাস্ক ও টেসলার পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে বসেছেন টেসলায় বিনিয়োগকারী ডেভিড ওয়াগনার।

টুইটারে বেফাঁস কথা বলে আগেও বিপাকে পরেছিলেন মাস্ক। বেফাঁস টুইট করে ২০১৮ সালে মার্কিন ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)’র মামলার মুখের পড়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে মামলা নিস্পত্তিতে রাজি হয়েছিল এসইসি। এসইসি’র সঙ্গে ওই সমঝোতার একটি শর্ত ছিল, টেসলার ব্যবসায়িক কোনো বিষয় নিয়ে টুইট করার আগে ওই টুইটের জন্য প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী ও পরিচালকদের অনুমোদন নিতে হবে মাস্ককে।

টেসলার ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেবেন কি না– ৬ নভেম্বর মাস্ক টুইটারে এই প্রশ্ন তোলার পরপরই শেয়ার বাজারে টেসলা শেয়ায়ের দাম পড়ে যায় এক-চতুর্থাংশ। ওই টুইট করার আগে মাস্ক প্রতিষ্ঠানের আইনজীবীদের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছিলেন কি না, সেই তথ্য জানতে অভ্যন্তরীণ নথিপত্র দেখতে চেয়ে আদালতের সরণাপন্ন হয়েছেন ওয়াগনার। টেসলা বিনিয়োগকারীর করা ওই মামলার জেরেও বিপাকে পড়তে পারেন মাস্ক।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর