chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সদরঘাটের হেলে পড়া ভবন দুটি পরিদর্শনে সিডিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীর মাঝিরঘাট এলাকায় খাল খননের কাজ চলার মধ্যে পাশের দুটি ভবন ও একটি মন্দির হেলে পড়ায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের আতঙ্ক এখনো কমেনি। তিন তলা ভবনের মালিক স্বপন দাশ ও সন্তুস দাশ এবং অন্যটির মালিক মতিলাল দাশ বলে পুলিশ জানায়। এছাড়া ওই এলাকার বিঞ্চু মন্দিরটিও কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হেলে পড়া ভবনের বাসিন্দা স্বপন দাশ বলেন, সিডিএর খাল খননের কারণে আমাদের ভবন হেলে পড়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি কাজ বন্ধ রাখতে। না হয় নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়িয়ে দিয়ে কাজ করতে। এতদিন একটু হেলে ছিল। গতকাল সোমবার ৫ থেকে ৭ ফিট হেলে গেছে ভবনটি। এতে আতঙ্কে রয়েছি আমরা।

আমরা সবাই ভবন থেকে সরে গেছি। সেখানে আমাদের জিনিসপত্র থেকে গেছে। এখন সিডিএ বলছে আমরা নাকি সিডিএর অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণ করেছি। আমাদের কাছে সিডিএর সব অনুমোদন রয়েছে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে হেলে পড়া ভবন পরিদর্শনে যান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী।

তিনি চট্টলার খবর’কে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । ঘটনাস্থলে সিডিএর স্টেট অফিসারও রয়েছেন। ওনারা হেলে পড়া ভবনটি সিডিএর অনুমোদন আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখছেন।

এর আগে সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে সদরঘাট থানাধীন মাঝিরঘাট স্ট্যান্ড রোড সংলগ্ন পার্বতী ফকিরপাড়া এলাকায় গুলজার খাল সংলগ্ন তিনতলা ও দোতলা ভবন দুটি এবং একটি মন্দির হেলে পড়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। ভবন হেলে পড়ার পর ওই ভবন দুটি থেকে বাসিন্দারা নিজ উদ্যোগে সরে যেতে শুরু করেছে।

সদরঘাট থানার এসআই রনি তালুকদার বলেন, রাত ১০টার দিকে ভবন হেলে পড়ার সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ওই ভবন দুটির পাশের ড্রেনের কাজ চলার কারণে তিন তলা ও দোতলা ভবন দুটি হেলে পড়তে পারে। আমরা মানুষজনকে সরে যেতে বলেছি।

আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, গুলজার খালের খনন কাজ হচ্ছিল। খোঁড়ার কারণে পাশের তিনতলা ভবনটি দক্ষিণ দিকে কিছুটা হেলে পড়েছে। পাশের আরও একটি ভবনও হেলে পড়েছে।

তিনি বলেন, আমরা সেখানে কাউকে থাকতে দেব না। হেলে পড়ার কারণে আশেপাশে বেশকিছু ঘরও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাদেরও সরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর