chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কুমিল্লা থেকে সংবাদপত্রের সেই এজেন্টকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার ৩৯ ঘণ্টা পর সংবাদপত্রের এজেন্ট এস এম ইয়াসিনকে (৫৭) ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে অপহরণকারীরা তাঁকে কুমিল্লার চান্দিনা থানার মাধাইয়া বাজার এলাকায় তাকে ছেড়ে দিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইয়াসিন।

ইয়াসিন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বিভিন্ন সংবাদপত্রের এজেন্ট (বিক্রেতা)। এর আগে গত রবিবার সকাল সাতটার দিকে বার আউলিয়া এলাকায় তার নিজের সংবাদপত্র বিক্রির কার্যালয় থেকে এস এম ইয়াছিন নিখোঁজ হন। ওই সময় তার পরিবারের স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, অপহরণকারীরা ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তাকে তুলে নেয়।

মুক্তির পর ইয়াসিন বলেন, প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে হকারদের কাছে সংবাদপত্র ভাগ করে দেন। এরপর সকাল সাতটার দিকে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস থেকে তিন ব্যক্তি নেমে নিজেদের ডিবি পরিচয় দেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে ওই তিন ব্যক্তি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। এরপর তার চোখ বেঁধে অজ্ঞাতনামা একটি ঘরে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানে দু-তিনজন তাকে পাহারা দিয়েছে। অপহরণকারীরা তাঁর সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। সময়মতো খাবারও দিয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে অপহরণকারীরা একটি খালি স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর নেয়। এ সময় তিনি স্বাক্ষর করতে না চাইলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। স্বাক্ষর দেওয়ার পর অপহরণকারীরা তার কাছে কত টাকা আছে, তা জানতে চায়। এরপর তার কার্যালয়ের ক্যাশে থাকা ছয় হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়ে আসে অপহরণকারীরা। পরে তিনি বাড়িতে যাওয়ার জন্য গাড়িভাড়া বাবদ অপহরণকারীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা চেয়ে নেন। পরে তারা একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে মাধাইয়া বাজারে নামিয়ে দেয়। গাড়ি থেকে নেমেই তৎক্ষণাৎ তিনি বিষয়টি বাজারে থাকা পুলিশকে জানান।

চান্দিনা থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে দেবীদ্বার থানা-পুলিশের সংবাদের ভিত্তিতে তারা পুলিশ পাঠিয়ে ইয়াসিনকে থানায় এনেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন জানিয়েছেন, ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ছেড়ে দেওয়ার আগে সাদা স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর ও পাঁচ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, কি কারণে তাকে অপহরণ করেছে সেটা বিষয়ে তদন্ত করে দেখছি।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর