বন্দরে ২৪৭ বস্তা কেমিক্যাল পণ্য জব্দ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : পলিস্টার সুতার ঘোষণার চালানে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে বস্তায় বস্তায় কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য। কায়িক পরীক্ষায় বিষয়টি ধরা পড়ে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আনার তথ্য পেয়ে বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষ। এসময় ৯ টন ওজনের ২৪৭ বস্তা কেমিক্যাল পণ্য পাওয়া যায়।
সূত্র জানায়, বন্ড সুবিধায় ১০০ শতাংশ পলিস্টার ইয়ার্ন আমদানির ঘোষণায় আনা চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে ময়মনসিংহের ভালুকা পৌরসভার পিএনআর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে।
চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল প্রতিষ্ঠানের মনোনীত আগ্রাবাদের সিএন্ডএফ এজেন্ট রাসেল গার্মেন্টস। গত ৬ ডিসেম্বর চালানটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে এ এজেন্ট।
তবে এর আগেই গোপন তথ্য পেয়ে অনুসন্ধান চালায় কাস্টম হাউসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা। খালাসকালে কনটেইনারের সামনে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিকভাবে ওই চালানে সুতার পরিবর্তে কেমিক্যাল আনার বিষয়টি নিশ্চিত হন।
এরপর কনটেইনারটি নতুন করে সিল দিয়ে বন্ধ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লক করে দেন, যাতে কেউ খালাস নিতে পারেন।
তারপর গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সিএন্ডএফ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কনটেইনারটি কিপ-ডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। এসময় ৯ দশমিক ৮৬ কেজি ওজনের ২৪৭ বস্তা কেমিক্যাল পণ্য জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস।
তথ্যটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার শরফুদ্দীন মিয়া। তিনি বলেন, ভালুকার প্রতিষ্ঠান পিএনআর ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৯৭১ টাকার ২৫ টন পলিস্টার ইয়ার্ন আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৯ টন ওজনের ২৪৭ বস্তা কেমিক্যাল পণ্য নিয়ে আসে।
চালানটির সঠিক এইচএস কোড নির্ধারণে নমুনা সংগ্রহ করে কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তখন চালানের বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চখ/আর এস