যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা একপেশে ও অকার্যকর: তথ্যমন্ত্রী
চট্টলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় ও অন্যদের ওপর তাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একপেশে এবং অকার্যকর। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মাদির বিরুদ্ধেও এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, পরে তাকেই আবার লালগালিচা অভ্যর্থনা দিয়েছে, যা প্রমাণ করে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রকৃতপক্ষে অকার্যকর।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভাতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় পুলিশ একজন কৃষ্ণাঙ্গের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে তাঁকে মেরে ফেলার মর্মান্তিক দৃশ্য বিশ্ববাসী আজও ভোলেনি। শুধু তাই নয়, ফিলিস্তিনের শিশুরা তাদের বাড়িঘরে হামলাকারী ইসরায়েলিদের ওপর ঢিল ছুড়লে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর নির্বিচার গুলি চালায়। যুক্তরাষ্ট্র তো সেই ইসরায়েলিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
হাছান মাহমুদ বলেন,বরং জাতিসংঘে কোনো দেশ যদি এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব দেয়, যুক্তরাষ্ট্রই সে দেশের বিরোধিতা করে ভেটো দেয়। সুতরাং তাদের এই নিষেধাজ্ঞা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, একপেশে ও অকার্যকর।
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী এবং জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে তারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নিরাপত্তাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করে আসছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে পৃথকভাবে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (রাজস্ব বিভাগ) ও পররাষ্ট্র দপ্তর।
এমকে/চখ