chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বৈরি চট্টলার আকাশ, রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আকাশ থেকে কখনো ঝরছে বৃষ্টি, কখনো বা গুমোট অন্ধকার। চট্টগ্রামের আকাশে সূর্যের দেখা মিলছে না গত তিনদিন ধরে। ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ গভীর নিম্নচাপ হয়ে এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে আকাশে। এর প্রভাবে বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রেখেছে  আবহাওয়া অফিস।

আজ মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) সকার ৯ টা থেকে পূর্ববতী ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ডিউটি ফোরকাস্টিং অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে এখনও সমুদ্রে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আজও চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সব সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া নদী বন্দরগুলোতে ১ নৌ হুশিয়ারি সংকতে দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজে পণ্য উঠানামায় কিছুটা বিঘ্ন হলেও বন্দরের ভেতরে সব ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলে বর্হিনোঙরে পণ্য উঠানামা বন্ধ থাকে। এছাড়া সিগনালে তেমন সমস্যা হয়না।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীর নিম্নাঞ্চলে এখনও জলাবদ্ধতার রয়ে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন রাস্তায় চলাচল করা সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভাঙা সড়কে ছোট বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়কে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ছোট যানবাহনের চালকরা।

বন্দরনগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সিডিএ আবাসিক, দেওয়ানহাট, কাতালগঞ্জ, শমসেরপাড়া, আগ্রাবাদ, দুই নম্বর গেট ও হালিশহর এলাকায় পানি আর কাঁদা মিলেমিশে একাকার। আর গত দুইদিন ধরে নগরে এভাবেই বৃষ্টি, যানজট, কাঁদা পানি মারিয়ে চলাচল করছেন কর্মজীবী, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর