chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শীতের বৃষ্টি দুর্ভোগ বাড়িয়েছে চট্টলাবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদের’ প্রভাবে গতকাল থেকে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ।গণপরিবহন সংকট ও সড়কে যানজট আর কিছু রাস্তায় জলাবদ্ধতা একাকার হয়ে নগরবাসীর দুর্ভোগের মাত্রা বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। 

নগরীর লালখানবাজারে ছাতা মাথায় গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, চকবাজার থেকে আগ্রাবাদ অফিসে যাব কিন্তু বৃষ্টির কারণে গাড়ি পাচ্ছি না। প্রথমে অনেক্ষণ চকবাজার দাড়াঁনোর পর একটা লেগুনা করে লালখানবাজার আসি। সেখান থেকে গাড়ি আর আগ্রাবাদ যাচ্ছে না। তাই লালখানবাজার দাঁড়িয়ে আছি আরেকটি গাড়িতে করে আগ্রাবাদ অফিসে যাবো। তিনি বলেন, যে দুই-একটা বাস আসছে সেগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই হয়ে আসায় ওঠা যাচ্ছে না। বৃষ্টির কারণে পরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে।

নগরীর দেওয়ানহাটে আসা আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী ইয়াহিয়া আহমেদ বলেন, চান্দগাঁও থেকে অনেক কষ্টে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে বাসে উঠেছি। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ২ নং গেইট, জিইসি, লালখানবাজার ও টাইগারপাস সব জায়গাতেই অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে বৃষ্টির কারণে। যানজট হলেও গণপরিবহের সংখ্যা অনেক কম।

এদিকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নগরীর বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। চকবাজার, বাকলিয়া, মুরাদপুর, প্রবর্তক, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, সিডিএ আবাসিক এলাকায় জলাব্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। নগরীর শেখ মুজিব রোডে চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের কারণে সেখানে আগে থেকে রাস্তার বেহাল দশা ছিল। বৃষ্টির কারণে সেখানেও পানি জমে দুর্ভোগ আরো বাড়িয়েছে এই্ রাস্তায় চলাচল করা সাধারণ নাগরিকদের।

জুহাইর নামে একজন পথচারী বলেন, খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া আজ কারও বাইরে বের হওয়া উচিত হবেনা। রাস্তায় গণপরিবহন তেমন নেই, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত যানজট। সকালে আমার মতো যারা কাজে বের হয়েছেন তারা খুব ভোগান্তিতে পড়েছেন।আর কিছু রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম চট্টলার খবরকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ উপকূলে আসার আগেই দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপ হিসেবে এটি সোমবার মধ্যরাতে ভারতের ওডিশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। মঙ্গলবার থেকে দেশের বেশিরভাগ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। এছাড়া তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে। এদিন চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের দুপুর ১২টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে।সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযান ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর