chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

সাগরে লঘুচাপ, ডিসেম্বরে বৃষ্টির সম্ভাবনা 

চট্টলা ডেস্ক: আন্দামান সাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপের প্রভাবে চলতি মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন আবহাওয়াবিদরা। যেটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ এবং পরে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে এমনটি ধারণা তাদের। বাংলাদেশ উপকূল থেকে ওই লঘুচাপের অবস্থান এখনও যথেষ্ট দূরে। ঘূর্ণিঝড় হোক বা না হোক এর প্রভাবে তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে, এই ডিসেম্বরে বৃষ্টিও হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, হেমন্তের শেষ সময়ে এসে বৃষ্টির রেশ কেটে গেলেই পৌষের শুরুতে জেঁকে বসবে শীত। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুধবার দেশের সর্বনিম্ন ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের অধিকাংশ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই ছিল। আর কক্সবাজারে ৩২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, মধ্য আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেটা আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে কয়েকদিন পরে বৃষ্টির আভাস রয়েছে। তাপমাত্রা কয়েকদিন কম ছিল, ফের বাড়বে কয়েক দিন।

এ আবহাওয়াবিদ বলেন, লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে এবং শুক্রবার বা শনিবারের দিকে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার আভাস পাচ্ছেন তারা। নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হবে ‘জাওয়াদ’। এটি সৌদি আরবের দেওয়া নাম।

আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয় বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপ। এ অঞ্চলের ১৩টি দেশের দেওয়া নামের তালিকা থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়।

হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পূর্বাভাস জানাব। ঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে বৃষ্টি শেষে জেঁকে বসবে শীত।এখন পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, তাতে ঘূর্ণিঝড় হলে সেটি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলের দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

সবশেষ সেপ্টেম্বরে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণঝড় ‘গুলাব’। আর মে মাসে ‘ইয়াস’ ওই উপকূলে আঘাত হানে। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মে মাসে বাংলাদেশে যে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছিল, তার নাম ছিল ‘আম্পান’।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর