সাত দাবিতে চবি গ্রন্থাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
নিজস্ব প্রতিবেদক : বই নিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশের সুযোগসহ সাত দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসে।
রবিবার বেলা ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ আন্দোলন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে, ব্যক্তিগত বই নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়ার ব্যাপারে বিনা শর্তে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়া, সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখা, শনিবারও লাইব্রেরির খোলা রাখা, অন্তত এক সপ্তাহের জন্য লাইব্রেরি থেকে বই ইস্যু করার সুযোগ দেয়া , বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের (প্রতিবন্ধী) জন্য পড়ার যথাযথ পরিবেশ তৈরি করতে করা, লাইব্রেরিতে ওয়াইফাই সুবিধা চালু করা, লাইব্রেরিতে পড়ালেখার সুস্থ পরিবেশ রাখা।
প্রতক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনের অংশ হিসেবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একযোগে লাইব্রেরিতে বই নিয়ে প্রবেশ করতে গেলে তাদের প্রবেশে বাধা দেয় লাইব্রেরির কর্তৃপক্ষ। পরে লাইব্রেরির ভেতরের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে লাইব্রেরির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।। এ সময় লাইব্রেরি ভবনের মূল ফটক লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
পরে প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা এসে তাদের শান্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের দাবি মানা হবে এই আশ্বাসে তারা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে একলাসুর রহমান বলেন, লাইব্রেরিতে ব্যাক্তিগত বই নিয়ে ঢুকতে পারলে আমরা নিজেদের মত করে পড়াশোনা করতে পারতাম। লাইব্রেরির সিস্টেম জটিলতায় আমরা পড়াশোনার পরিবেশ পাচ্ছি না। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ব্যক্তিগত বই নিয়ে ছাত্ররা পড়াশোনা করতে পারলেও আমরা আমাদের গ্রন্থাগারে বই নিয়ে যেতে পারিনা।
তিনি বলেন, আমাদের হল পর্যাপ্ত না। বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রী কটেজে থাকে। কটেজের পরিবেশ পড়াশোনার মত না। তাই আমাদের একমাত্র ভরসা ছিলো কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। সেখানেও আমরা সুযোগ পাচ্ছি না। যার কারণে বাস্তব প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। আশা করছি প্রশাসন আমাদের দাবি গুলো মেনে নিয়ে আমাদের পড়াশোনার পরিবেশ করে দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, দাবি দাওয়া গুলো আমরা জেনেছি। তাদের থেকে এক সপ্তাহ সময় নেওয়া হয়েছে। লাইব্রেরি কমিটির সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এসএএস/নচ