মিতু হত্যা মামলা: কেস ডকেটের ফটোকপি আদালতে হেফাজতের আদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় দায়ের হওয়া প্রথম মামলা পুনরায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির কেস ডকেট নিতে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
তবে কেস ডকেট তদন্ত কর্মকর্তাকে দিলেও তার একসেট ফটোকপি আদালতে হেফাজতের আবেদন করেন মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের আইনজীবী।
শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে কেস ডকেটের ফটোকপি আদালতের হেফাজতে রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালত এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, পিবিআইয়ের হাতে থাকাকালীন বেশ কিছু নথি গায়েব হয়েছিল। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেস ডকেট আদালতের হেফাজতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিলে নতুন করে কেস ডকেট নিতে আবেদন করে পিবিআই। এরপর আমরা কেস ডকেটের একসেট ফটোকপি আদালতের হেফাজতে রাখার আবেদন করি। শুনানি শেষে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জানা গেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডে দুটি মামলা হয়। প্রথম মামলার বাদী তার স্বামী বাবুল আক্তার। কিন্তু মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে বাদী বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। ওই মামলায় গত ১৬ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন তিনি।
একই দিন পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ বাদী হয়ে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাবুল আক্তারকে। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন বাবুল আক্তার।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।
এসএএস/এমআই