chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে এএসআই খুনে ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নগরীতে ১৫ বছর আগে পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) খুনের দায়ে এক ছিনতাইকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত বাকি সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত পুলিশের তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁইয়া এ রায় দেন।

দণ্ডিত মো. জাকির হোসেনের (৩০) বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। জাকির কারাগারে আছেন। রায় প্রদানকারী আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ওমর ফুয়াদ বলেন, দণ্ডিত জাকির ছিনতাইকারী চক্র মলম পার্টির সদস্য হিসেবে এজাহার ও অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে। তাকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাতজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় আদালত মৌখিকভাবে মামলার তদন্তে দুর্বলতার বিষয় তুলে ধরেন। বিচারক তদন্তে ত্রুটি সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ সিএমপি কমিশনারের কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

খুন হওয়া এএসআই মো. ইদ্রিস মিয়া নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন। ছুটিতে চট্টগ্রামে এসেছিলেন তিনি। ২০০৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর তিনি খুন হন। পরদিন সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার সিএন্ডবি বিসিক শিল্প এলাকার ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানার এসআই কে এম পেয়ার আহমেদ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ছিনতাইকারী দল তার চোখে মলম লাগিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে লাশ সড়কের পাশে ফেলে যায়।

ওমর ফুয়াদ জানিয়েছেন, মামলার অভিযোগপত্রে মোট আটজন আসামি ছিলেন। এদের মধ্যে চার জন পলাতক ও চার জন কারাগারে আছেন। আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ২১ জনকে সাক্ষী হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করে।

এসএএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর