পর্তুগালে সাধারণ নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি
ডেস্ক নিউজ: পর্তুগালে আগামী ৩০ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো ডি সজা বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ বিষয়টি ব্যক্ত করেন।
গত সপ্তাহে সংসদে ২০২২ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হলে বর্তমান কোয়ালিশন সরকার তাদের সহযোগী এবং বিরোধী দল থেকেও সমর্থন হারায় অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ সোশ্যালিস্ট পর্টি বাদে বাকি শরিক দলগুলো বিই, পিসিপি, পিইভি এই বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করে; তবে দুটি দল ভোট প্রদানে বিরত থাকে।
বুধবার রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুসারে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী শীর্ষ দলগুলোর কথা শুনেছেন এবং তাদের বেশিরভাগই সংসদ ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিলেন। তাই রাষ্ট্রপতি এ ঘোষণা প্রদান করেন । পর্তুগিজ সংবিধান অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
বাজেটের বিরোধিতাকারী দলগুলো বলছে এই বাজেট গণমুখী নয়। এমনকি সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বাজেট প্রণয়ন হয়নি যদিও বাজেটের মাত্র কয়েকটি বিষয়ের বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। প্রধান বিরোধী দল পিএসডি বলছে একটি বামপন্থি দল সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও সঠিকভাবে বেতন বাড়ানো হচ্ছে না এবং এ বাজেটেও খুবই সামান্য বৃদ্ধি উল্লেখ করা আছে।
তবে ক্ষমতাসীন বলছে এই বাজেট মহামারিপরবর্তী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে; তাছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দূরদর্শী পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বিত। যদি দুই-একটি খাতে কোনো তারতম্য থাকতে পারে তবে তা যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সংসদের কার্যপ্রণালী থেকে জানা গেছে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদীয় কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।
নচ/চখ