chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ‘উপযুক্ত শাস্তি’ দেবে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তাইওয়ানের যেসব রাজনীতিবিদ দ্বীপটিকে চীনের সীমানা থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে বলে ভয় দেখিয়েছে চীন।

ইতোমধ্যে এই শাস্তির খাঁড়ায় পড়েছেন তাইওয়ানের ৩ রাজনীতিবিদ। তারা হলেন- তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং চেং, পার্লামেন্টের স্পিকার ইউ শিয়ি কুন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উয়োউ।

বেইজিংয়ের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স দফতরের মুখপাত্র ঝু ফেংলিয়ান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, এই তিন রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তারা তাইওয়ান প্রণালীর দুই তীরে (চীনের ও তাইওয়ানের ভূখণ্ডে) উত্তেজনা উস্কে দিচ্ছেন এবং তাইওয়ানকে চীনের সীমানা থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করার জন্য আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।

এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে তিন রাজনীতিবিদ ও তাদের পরিবারের সদস্যদের চীন, হংকং ও ম্যাকাও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানিয়েছেন ঝু ফেংলিয়ান।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তালিকা তৈরি করছে বেইজিংয়ের দফতর এবং তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সব রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একটি প্রতিনিধি দল তাইওয়ান সফরে গিয়ে সেখানকার রাষ্ট্রপতি সাই ইং ওয়েনকে আশ্বাস দেন, কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপ ভূখণ্ড একা নয়। তাইওয়ানের স্বাধীনতার সংগ্রাম যেন আরও জোরদার হয়, সে বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৎপরতা চালাবে বলেও জানান তারা।

ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সফরের এক দিন পরই এই বিবৃতি দিল বেইজিংয়ের তাইওয়ান অ্যাফেয়ার্স দফতর।

এদিকে, সদ্য বেইজিংয়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী সু সেং চেং সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি বেইজিংয়ের এই পদক্ষেপে ভীত নন।

সু সেং চেং বলেন, ‘তারা (চীন) যে অন্যায়ভাবে তাইওয়ানকে দখল করে রেখেছে, সাম্প্রতিক পদক্ষেপে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।’

এক সময়ের স্বাধীন রাষ্ট্র তাইওয়ান আসলে পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ, যা তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বদিকে চীনের মূল ভূখণ্ডের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে অবস্থিত। গত দশকের ষাটের দশকে এক যুদ্ধে চীনের কাছে পরাজিত হয়ে স্বাধীনতা হারায় তাইওয়ান।

তবে এই দ্বীপ ভূখণ্ডের স্বাধীনতাকামী জনগণ বরাবরই চীনের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। দ্বীপটির স্বাধীনতার সংগ্রাম নতুন গতি পেয়েছে ২০১৬ সালে, সাই ইং ওয়েন সেখানকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে।

তবে গত এক বছর ধরে চীন-তাইওয়ান সম্পর্কে যে পরিমাণ তিক্ততা দেখা যাচ্ছে, তা গত ৪০ বছরে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর