নিজস্ব প্রদিবেদক : চট্টগ্রামের আলোচিত মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী বাবুল আকতারের করা মামলায় পিবিআই এর দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি আদালত। এ মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশও দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।
বাবুল আকতারের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, মিতু হত্যাকাণ্ডে দায়ের হওয়া প্রথম মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ অক্টোবর আমরা নারাজির আবেদন করি। ২৭ অক্টোবর মামলার বাদী ও সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আকতারের উপস্থিতিতে আবেদনটির শুনানি হয়।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে বুধবার আদেশের নির্ধারিত দিনে আদালত আমাদের নারাজি আবেদন খারিজ করেছেন। তবে একইসঙ্গে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রথম মামলার কেস ডকেটে (নথিপত্রে) বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে এসেছে। ওই নথি তলবের জন্য আদালতে আবেদন করলেও তা খারিজ হয়েছে বলে জানান ইফতেখার সাইমুল।
তিনি বলেন, আদেশের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।
আলোচিত মিতু হত্যার পর প্রথম মামলাটি করেন তার স্বামী বাবুল আকতার। পরে তদন্তে বাবুলেরই সম্পৃক্ততা পান তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। এরপর গত ১২ মে তিনি বাবুলের মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
ওই দিনই নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন আরেকটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় কারাগারের আছেন বাবুল।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় মিতুকে। পরে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন বাবুল আক্তার।
এসএএস/নচ