chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ: জনগণ যদি তাৎক্ষণিক ইনফরমেশন দিতে পারে, তাহলে অনেক ঘটনা ঘটবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, শান্তিরক্ষার জন্য তো ঘরে ঘরে পুলিশ দিতে পারি না।

আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে আয়োজিত ‘কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২১’ এর উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পৃথিবীর অনেক দেশই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সুফল পেয়েছে, আমরাও পাচ্ছি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫০-৭০ বছর আগের চিত্র দেখলে দেখা যায় অভিযোগ করার একদিন পরে হয়ত গ্রামবাংলায় পুলিশ যেত। ঢাকা জেলার অনেক স্থানেও একই অবস্থা ছিল। তাহলে তখন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ হতো কীভাবে?

‘তখন মাতব্বর, চেয়ারম্যান পুলিশের ভূমিকাটা পালন করত। পুলিশ গিয়েও তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিত। এসব মাতব্বর ও চেয়ারম্যানের কাছে গ্রামাঞ্চলের সব খবর থাকত। পুলিশ তাদের কাছে গিয়ে সব খবর নিত। তাদের কাছ থেকে ধারণা নিয়ে পুলিশ পদক্ষেপ নিত।’

তিনি বলেন, আমাদের কমিউনিটি পুলিশের আইডিয়াটাও একই রকম। কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটিকে সচেতন করে ঘটনা ঘটার আগেই- তা রুখে দিতে পারে। সেজন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং শুরু করেছি।

অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে আরও বড় আকারে করার তাগিদ দিয়ে বলেন, পুলিশ বাহিনীতে সাইবার ইউনিট আমরা করেছি। কিন্তু সেটা ছোট আকারে আছে। সাইবার ইউনিট বড় আকারে করতে হবে, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

‘অনেক অনেক দূর পথ হেঁটে যেতে হবে। টেকনোলোজির ব্যবহার ভালো দিকও আছে আবার খারাপ দিকও আছে। তবে আমাদের ভালো দিকটা বেছে নিতে হবে।’

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রসঙ্গ তুলে মন্ত্রী বলেন, অতিসম্প্রতি যে ধরনের উসকানি আসছিল, যেভাবে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে একটা ভায়োলেন্সের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, সেটাও কিন্তু আমাদের জনগণ ও পুলিশ একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই ধর্মভীরু। আমরা যে যার ধর্ম হৃদয় দিয়ে পালন করি, সেখানে আঘাত এসেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেই এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে আমরা বের করে নিয়ে এসেছি। তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে, জনগণও তাদের ধিক্কার দিচ্ছে।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর