chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

কক্সবাজারে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কক্সবাজার জেলায় আগ্রহী ব্যক্তিদের চা চাষে আরও উদ্বুদ্ধ করতে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা হর্টিকালচার সেন্টারে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট-এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিকুল হক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক দিনব্যাপি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মো. এখলাস উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কক্সবাজার ও মো. সামসুল আলম, উপপরিচালক, হর্টিকালচার সেন্টার, ঝিলংজা, সদর, কক্সবাজার। কর্মশালাটিতে কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলা হতে আগত প্রায় ৬০ জন চা চাষে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় বক্তারা ও চা চাষে আগ্রহী বক্তারা কক্সবাজারে চা চাষের অপার সম্ভাবণা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে মতবিনিময়কালে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন,  বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান রয়েছে। যার মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯.৬৩ একর, এর মধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫.৭৯ একর। এছাড়াও ক্ষুদ্রায়ন চা চাষাধীন জমির পরিমাণ প্রায় ৮০৫৭ একর। দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভোক্তার রুচির পরিবর্তনের ফলে চায়ের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আমাদের চিরাচরিত বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের চা বাগানগুলোতে যে চায়ের আবাদ ও আবাদযোগ্য ভূমি রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হলেও আগামী দু’তিন দশকের মধ্যে দেশের আভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে না। অথচ আমাদের লক্ষ্য দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানীমুখী এ চা শিল্পের উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানী করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা।

তাই আমাদের আশু প্রয়োজন জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে চা আবাদী এলাকা সম্প্রসারণ করা। সে লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গের সমভূমি এলাকায় সরকার চা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করে, যেখানে ইতিমধ্যে চা চাষীরা ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। অনুরূপভাবে দেশের দক্ষিক-পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার ও বান্দরবান চা চাষের অপার সম্ভাবণা অনুমেয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, কক্সবাজার জেলায় ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণকল্পে বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ২০২০ সালে প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ সম্প্রসারণের বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছিল। ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি অনুযায়ী বর্ণিত এলাকায় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ করতে আগ্রহী চাষী আছেন এবং উক্ত কক্সবাজার সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলার ভূমিরূপ ও আবহাওয়া চা চাষের জন্য উপযোগী বলে প্রতিয়মান হয়েছে।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর