সুইসাইড নোটসহ ঢাবি শিক্ষার্থীর লাশ মিলল হোটেলে
ডেস্ক নিউজ: রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ মিলেছে। বুধবার রাত দেড়টার দিকে হোটেলের দরজা ভেঙে ওই মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় লাশের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই ঢাবি ছাত্রের নাম আদনান সাকিব। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। মাস্টার্স করছিলেন অন্য একটি বিভাগে। থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে। তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর ডিমলার সোনাখুলিতে। বাবার নাম আবদুল মালেক।
জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে সাকিবকে পাওয়া যাচ্ছিল না। বুধবার তার স্ত্রী শাহবাগ থানায় জিডি করেন। পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিং করে হোটেল কর্নফুলীর ১০৭ নম্বর কক্ষ থেকে বুধবার রাত দেড়টায় লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ ধারণা করছে সাকিব আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি সুইসাইড নোট রেখে যান। সেখানে তিনি লেখেন- তার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নন।
লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পলাশ সাহা।
তিনি জানান, বুধবার রাত ৯টায় সাকিবের স্ত্রী নুসরাত আফরিন থানায় এসে জানান তার স্বামীকে দুদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে না। পরশু দিন দুপুরে শেষ কথা হয়, এর পর আর পাওয়া যায়নি। তিনি শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। আমরা সাকিবের মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করি।
সেখানে দেখা যায়, সেগুনবাগিচা এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তার অবস্থান দেখাচ্ছে। পাশের কর্ণফুলী আবাসিক হোটেলে খোঁজ নিলে তার সন্ধান মেলে। আমরা ১০৭ নম্বর কক্ষে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেননি। পরে দরজা ভেঙে দেখি তিনি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছেন।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, সাকিব একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছে। সেখানে লিখেছেন— তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। তিনি স্ত্রীকে ভালো বলে গেছেন। তার স্ত্রীকে দোষারোপ না করার কথা লিখেছেন। সুইসাইড নোটে ১২ বছরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তার কাছে ১ সেকেন্ড ১ বছরের মতো মনে হয় বলেও লেখা আছে।
এমআই/চখ