জনদুর্ভোগ লাঘবে দিবারাত্রি কাজ করার নির্দেশ দিলেন মেয়র
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে চসিকের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের তিল পরিমাণ ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই। এখন বর্ষা মৌসুম শেষ, নগরীর যে রাস্তাগুলো অতিবৃষ্টির কারণে সংস্কার ও মেরামতের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল তা এখন থেকে দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) নগরীর বিমানবন্দর সড়ক হতে লিংক রোড হয়ে হালিশহর পর্যন্ত রাস্তার চলমান সংস্কার ও মেরামত কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার বা পণ্যবাহী যানগুলো চলাচল করার কারণে যে সড়কগুলো নষ্ট হয়েছে তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তিনি এসব রাস্তাগুলো সংস্কারের ব্যাপারে বন্দরসহ অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম নগরকে নিয়ে আমার অনেক পরিকল্পনা আছে, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তবে নগরীতে চসিকের যেসব খালি জায়গা আছে অন্যদিকে যেসব খাল ও নালা অবৈধ দখলদারদের আয়ত্ত্বে আছে তা সি.এস, আর.এস খতিয়ানের আলোকে উদ্ধারে কাজ এখন থেকে জোরালোভাবে শুরু করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল সেবা সংস্থার সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভা অনুষ্ঠানের উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান।
তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার উদ্দেশ্যে বলেন, এতদিন বর্ষা মৌসুমের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অসুবিধা থাকলেও বর্তমানে বৃষ্টিজনিত কারণে সমস্যা হবার আর কোন সম্ভাবনা নেই। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এ সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আগামী বর্ষা মৌসুমে যেন নগরবাসীদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে ব্যাপারে আন্তরিক হবার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, মনিরুল হুদা, আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আশিকুল ইসলাম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
এসএএস/জেএইচ/চখ