chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নেইমারকে বোতল ছুঁড়ে মারল প্রতিপক্ষ সমর্থকরা

পিএসজির ড্র

স্পোর্টস ডেস্ক: ম্যাচে গোল হলো দুটি। দুটিই মার্শেই ফুটবলারদের। কিন্তু স্কোরলাইন বলছে, গোলশূন্য ড্র হয়েছে ম্যাচ। গতকাল রাতে পিএসজির বিপক্ষে মার্শেইর না জেতার কারণ, দুটি গোল বাতিল হয়েছে অফসাইডে।

ফরাসি ফুটবলের প্রাচীন ও মর্যাদার দ্বৈরথের একটি মার্শেই-পিএসজির লে ক্লাসিক। সাম্প্রতিক সময়ে, যতবার দল দুটি মাঠে নেমেছে, ততবারই কোনো না কোনো কারণে ম্যাচগুলো জন্ম দিয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। কালও একই ধারায় শেষ হয় ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলের ক্লাসিকো।

কী ছিল না এই ম্যাচে! ম্যাচের শুরুর দিকেই মার্শেই ফুটবলার লুয়ান পেরেসের গোল। তবে সেটা নিজেদের জালে। নেইমারের ক্রস ব্লক করতে যেয়ে, নিজেদের জালেই বল জড়ান এই লেফটব্যাক। কিন্তু ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারির (ভিএআর) সহযোগিতা নিয়ে রেফারি গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন।

ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া মার্শেই এরপর নিজেরাই পায় গোল। আর্কাদিউসজ মিলিক দারুণ ফিনিশিংয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন। তবে একটু পর আবার রেফারির অফসাইডের বাঁশি। দুটি গোল একই কারণে বাতিল হওয়ার পর কোনো দলই আর জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় দল দুটিকে।

গোলশুন্য ড্র হলেও, মোটেও ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল না এই ম্যাচ। উল্টো প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে গিয়ে ভালো হেনস্তার শিকারই হতে হয়েছে পিএসজির ফুটবলারদের। বিশেষ করে নেইমারকে। এই মার্শেইয়ের বিপক্ষে অনেকবার ঝামেলায় জড়িয়ে ক্লাবটির সমর্থকদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে মার্শেইয়ের দর্শকদের বিশৃঙ্খল আচরণেও খেলাও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। নেইমার যখন কর্নার নিচ্ছিলেন, দর্শকসারি থেকে তার দিকে ছুঁড়ে মারা হচ্ছিল কাগজ ও বোতল। ফলে বাধ্য হয়ে মাঠের থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। বেষ্টনী তৈরি করে নেইমারকে নিরাপত্তা দিতে হয়।

স্তাদে ভেলোদ্রোমে ঘটনাবহুল এই ম্যাচে লাল কার্ড দেখছেন পিএসজির রাইটব্যাক আশরাফ হাকিমি। ৫৭ মিনিটে তুরস্কের উইঙ্গার জেঙ্গিজ উনদেরকে অবৈধভাবে ফেলে দিলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

তবে কতটা অব্যবস্থাপনার মধ্যে লিগ ওয়ান আয়োজন করা হয়, এই মার্শেই-পিএসজি ম্যাচ দিয়ে আবার তা প্রমাণ হলো। দ্বিতীয়ার্ধে প্রতি আক্রমণে লিওনেল মেসি বল পায়ে বাঁ প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মার্শেই ডি বক্সের কাছে। তখনই হুট করে মাঠে ঢুকে পড়ে এক সমর্থক মেসির পা থেকে যেন বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলেন! তাতে খেলা তো থেমে যায়ই, নষ্ট হয় পিএসজির একটি গোলের সুযোগও।

মার্শেই বিপক্ষে পয়েন্ট হারালেও ১১ ম্যাচ শেষে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষেই আছে পিএসজি। ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লেঁস। ১০ ম্যাচ শেষে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে মার্শেই আছে চারে।

এদিকে, রাতের আরও বড় তিন ম্যাচও ড্র ভাগ্য বরণ করে নিয়েছে। ইতালিয়ান ফুটবলের ডার্বি ডি’ইতালিয়ায় ১-১ গোলে ড্র করেছে ইন্টার মিলান ও জুভেন্টাস। রোমা-নাপোলি ম্যাচে গোল দেখেনি কেউ। আর লা লিগায় রিয়াল সোসিয়েদাদের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।

তারকাখোচিত পিএসজির আক্রমণভাগে মেসি-নেইমার-এমবাপে সঙ্গে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াও ছিলেন। তবে অলিম্পিক মার্শেইর সঙ্গে সুবিধা করে উঠতে পারলো না তারা। কোনো রকমে মার্শেইর মাঠ থেকে ড্র করে ফিরেছে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময় একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলা পিএসজি তাই এক পয়েন্ট নিয়ে আসতে পেরেও স্বস্তি দেখছে।

জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর