chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

রাসেলের ছোট্ট বুক বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল খুনিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার ঘৃণ্য শত্রু-খুনি-ঘাতকেরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে।

‘ইতিহাসের এ বর্বরতম ও ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড থেকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরী স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ১০ বছরের ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও রেহায় পায়নি।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা তাকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। সে দিন মায়ের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাসেলের ছোট্ট বুক বুলেটের আঘাতে ঝাঁজরা করে দিয়েছিল।

আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দেন।

শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে আজ সোমবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টায় সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, সে দিন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা দেশের বাইরে অবস্থান করায় ভাগ্যক্রমে ইতিহাসের নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজ আমরা ‘বাংলাদেশ’ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র পেতাম না। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি জাতিকে যা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আরো অনেক দিক নির্দেশনা দিতেন। তাই শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও কঠোর হস্তক্ষেপের কারণে দেশে করোনার সংক্রমণ দুই শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় ও নিরলস প্রচেষ্টায় বর্তমানে দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে সবাই টিকার আওতায় আসবে এবং অচিরেই দেশ করোনামুক্ত হবে।

বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও ডা. মুস্তারী মমতাজ মিমির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মোঃ আবদুর রব ও জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডা. মৌমিতা দাশ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান।

আলোচনা সভা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সপরিবারে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

সভায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কার্যালয়, সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

আলোচনা সভার পূর্বে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

আরএস/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর