চবি ছাত্রলীগের ১২ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার
নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১২ কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কারের মেয়াদ সোমবার (১৮ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে। এ সময় বহিষ্কৃতরা বিশ্ববিদ্যালয় ও হলে অবস্থান করতে পারবেন না বলে বহিষ্কারাদেশে জানানো হয়।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলা বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় এই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, গত চারদিনের ঘটনায় দুই পক্ষের অভিযোগ, সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্য যাচাই বাছাই করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভায় ১২ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করার অভিযোগে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিক্সটি নাইন গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. নাঈম, একই শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাইফুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল আলম নায়েম, একই শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের আকিব জাভেদ, ইতিহাস বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের জুনায়েদ হোসেন জয় ও অর্থনীতি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ। এদের মধ্যে আশরাফুল আলম নায়েমকে ১ বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে সিএফসি গ্রুপের বহিষ্কৃতরা হলেন, আইন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মির্জা খবির সাদাফ, একই বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের খালেদ মাসুদ, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের অহিদুজ্জামান সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আরিফুল ইসলাম, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিল হোসেন ও আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদ ইসলাম। এদের মধ্যে সাদাফকে এক বছর ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
গ্রুপ দুটির মধ্যে সিএফসির নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল এবং সিক্সটি নাইনের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিক্সটি নাইন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এ থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এর জেরে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজ শেষে সিএফসির কর্মী আরাফাতকে জিরো পয়েন্টে একা পেয়ে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। পরে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ালে মোট ৪ জন আহত হন। একই ঘটনার জেরে রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে শাহ আমানত হলের সামনে সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন রিমনকে একা পেয়ে মারধর করেন সিক্সটি নাইনের কর্মীরা। ফের সংঘর্ষে জড়ান তারা। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এসএএস/জেএইচ/চখ