chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে : সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদক : শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসবে পরিণত হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী’র সাথে তাঁর কার্যালয়ে শারদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এ অভিমত প্রকাশ করেন সুজন।

ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী সুজনকে তাঁর কার্যালয়ে স্বাগত জানান। মতবিনিময়কালে সুজন বলেন, প্রতি বছর সনাতনী বাঙালির শারদীয় দুর্গোৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সব মানুষের মধ্যে। দুর্গাপূজা যদিও হিন্দু সমাজের ধর্মীয় উৎসব কিন্তু এটি ধীরে ধীরে পরিণত হয়েছে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল বাঙালির উৎসবে। নগরবাসীর কাছে তাই শারদীয় দুর্গোৎসব মানুষে মানুষে সম্মিলনের অন্যতম উপলক্ষ।

পূজার দিনগুলোতে বাঙালি ছুটে বেড়ায় প্রাণের উৎসবে। করোনাকালীন সময়ে গত বছর পূজার আনুষ্ঠানিকতায় কিছুটা আড়ম্বর থাকলেও এই বছর মহাসাড়ম্বরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যা প্রতিটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য খুশির খবর। করোনাকালীন সময়েও এ উৎসবের আয়োজনে কোথাও কোন ঘাটতি নেই যা সকলের নজর কেড়েছে। বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশই অভিন্ন এবং অবিচ্ছেদ্য রাজনৈতিক আদর্শ লালন পালন করে থাকে। উভয় দেশই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে তাদের হৃদয়ে ধারণ করে। আর সেই অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফল হলো আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের দুই দেশের ধর্ম কিংবা সংস্কৃতিতে তাই কোন ভেদাভেদ নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র অসাম্প্রদায়িক চেতনার কারণেই দুর্গাপূজার উৎসবটি সনাতনী সমাজের প্রাণের উৎসবে রূপ লাভ করেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের এ সৌন্দর্য আমাদের যে কোন মূল্যে ধরে রাখতে হবে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে যেভাবে ধর্মীয় উৎসবে প্রাণের মিলন ঘটে বাংলাদেশেও ঠিক একইভাবে প্রাণের মিলন ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন সুজন।

যেহেতু এখনো দেশ পুরোপুরি করোনাভাইরাস মুক্ত হয়নি সেহেতু সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি এবং অবশ্যই ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করার অনুরোধ জানান তিনি।

এসময় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী বলেন, ধর্মীয় সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছরই দেবী দূর্গার পূজা পালন করে আসছে। শারদীয় দুর্গোৎসব তাই ধীরে ধীরে রূপ নিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাণের উৎসবে। তবে এই উৎসব এখন শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশগ্রহনে এ উৎসব শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। হয়ে উঠেছে সার্বজনীন উৎসবে। আর এই জন্যই বলা হয়ে থাকে ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, মঙ্গল দীপের আলোতে আলোকিত হবে সকলের মন প্রাণ। মা দুর্গার পূজা অর্চণা আর ঢাকের শব্দে মুখরিত হবে চারপাশ। মাঙ্গলিক মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে কামনা করা হবে বিশ্ব শান্তির অমিয় বাণী। তবে বাঙালি হিন্দু সমাজের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হওয়ার দরুন বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে দূর্গাপূজা বিশেষ জাঁকজমকের সঙ্গে পালিত হয়।

তিনি আইনশৃংখলাসহ প্রশাসনের সার্বিক পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারী অদ্যুৎ জা।

এসএএস/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর