নিজস্ব প্রতিবেদক: জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে যাতে কোন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি না হয় সে বিষয়ে নিবন্ধনকারীদের বিশেষ সাবধানতা ও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী ভবনে সম্মেলন কক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২১ এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
সভায় জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন কেন প্রয়োজন এর উপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন চক্রবর্ত্তী।
প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে জন্ম নিবন্ধনে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯ শ ৩৫ জন পুরুষ, ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯ শ ৪৭ জন মহিলা ও অন্যান্য ৩ জনসহ সর্বমোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮ শ ৫৫ জন অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছেন।
তাঁর প্রতিবেদনে মৃত্যু নিবন্ধনে ২ হাজার ১শ ৩৪ জন পুরুষ, ৭ শ ৯১ জন মহিলাসহ সর্বমোট ২ হাজার ৯ শ ২৫ জন অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছেন বলে জানা যায়।
সভায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি ও ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ইপিআই কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন জন্ম নিবন্ধনকারীরা।
তারা বলেন, নবজাত শিশুরা ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন। সেক্ষেত্রে ইপিআই কর্মীরা শিশুর অভিভাবকদের জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন।
চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহকারী রবিউল আলম ও বিকাশ কান্তি মল্লিক। এতে সংরক্ষিত কাউন্সিলর নিলু নাগ, ফেরদৌসি আকবর, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।
আরএস/এমআই