chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

‘মাদক-চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে’

ডেস্ক নিউজ: মাদক-চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও চোরাচালান রোধে প্রয়োজনে সীমান্তে গুলি চালানো হবে।

‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি এসব অপরাধ রোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিষয়টিও গুরুত্বের সাথে দেখছে বাংলাদেশ।’

আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভারত সরকারের উপহারের অ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এ দিন সকালে একদিনের সফরে সিলেটে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সকাল ১০টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনাকালে ভারত সরকারের উপহার ২টি অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাই স্বামীসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠান শেষে দুটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাইকমিশনার। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে- সাম্প্রতিক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য উল্লেখ করে এ বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে কোনো ধরনের কূটনৈতিক আলোচনা হচ্ছে কি-না; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ বর্ডারে কখনো গুলি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ।

‘সীমান্তে হত্যা বন্ধে খুবই আন্তরিক বাংলাদেশ। কিন্তু এ সীমান্তে অপরাধ বাড়ছে দিন দিন। সংঘটিত অপরাধ নিয়ে কথা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। অপরাধ ঠেকাতে আগামীতে প্রয়োজনে গুলি চালানো হবে। তখন বন্ধ করা যাবে মানবপাচার, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালানের মতো অপরাধ।’

এ সময় সীমান্ত হত্যা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বর্ডারে কাউকে মারি না। মাঝে মধ্যে প্রতিবেশী দেশের হাতে এক-দুজন মারা গেলে মিডিয়া আমাদের জান শেষ করে দেয়। কেউ মরলে মিডিয়ায় চিৎকার শুরু হয়। বাংলাদেশ-ভারত নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ডারে একটি লোকও মরবে না।

মিয়ানমার বর্ডারে গুলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও ভালো বলতে পারবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বর্ডারটি খুবই ‘ডিফিকাল্ট’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এমআই/চখ

এই বিভাগের আরও খবর