chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

জাবেদ ভুল পথে গিয়ে অনুতপ্ত : সাজা কমানো উচিত

ছেলের শাস্তি কমাতে আদালতে দৌড়ঝাঁপ বৃদ্ধের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সদ্য ভর্তি হওয়া ১৯ বছরের টগবগে যুবক মো. জাবেদ। বিপথে পা বাড়িয়ে আজ শুনতে হলো তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায়।

আর তার বৃদ্ধ বাবা আদালতে দৌড়ঝাঁপ করছেন ছেলের শাস্তি কিছুটা হলেও কমানোর চেষ্টায়।

তার বাবার ভাষ্য মতে সে (জাবেদ) অনুতপ্ত। না বুঝেই জঙ্গিদের ফাঁদে পা দিয়ে ভুল পথে গিয়েছিল। সব কিছু জানার পর সে বলেছে এটা ইসলামের পথ না।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে আত্মঘাতী বোমা হামলার রায়ের পর যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামি মো. জাবেদের সত্তরোর্ধ্ব পিতা আবদুল আউয়াল এসব কথা বলেন। তিনি রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলেও জানান।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের পুলিশ চেক পোস্টের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এসময় জাবেদের বয়স ছিল ১৯ বছর। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তার বাড়ি কক্সবাজারের সদর উপজেলায়। বর্তমানে জাবেদের বয়স চলছে ৩৫ বছর।

দীর্ঘ ১৬ বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার রায় দেন বিচারক আব্দুল হালিম।

আইন প্রক্রিয়া শেষে আজ দুই আসামির মধ্যে জাবেদকে যাবজ্জীবন ও আরেক আসামি মিজান ওরফে বোমা মিজানকে মৃত্যুদণ্ড রায় দেন আদালত। বোমা মিজান ভারতে পলাতক আছে বলে রায় সূত্রে জানা যায়।

জাবেদের পিতা আবদুল আউয়াল শিকদার বলেন, রায় তো একটা হবে। আমরা আরও কম সাজা আশা করেছিলাম। তার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি পাইনি। সাজা কমানোর জন্য আমরা আপিল করব। কারণ সে ভুলের জন্য অনুতপ্ত। তাকে শোধরাবার সুযোগ দেয়া উচিত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাবেদ জেএমবির সম্পৃক্তায় অনুতপ্ত এবং চারিত্রিক সহনশীলতার বিবেচনায় এনে আদালত তার যাবজ্জীবন রায় দেন।

আরকে/জেএইচ/চখ

এই বিভাগের আরও খবর