আনোয়ারা উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, জেলেদের মুখে হাসি!
নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। উপজেলার মাছঘাট জুড়ে ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য।
বিভিন্ন সাইজের ইলিশ ক্রয় করতে সমুদ্রের উপকূলবর্তী এলাকার ঘাটগুলোয় ভিড় করছেন ক্রেতারা। ক্ষতিকর উপাদান ও বরফ ছাড়া ঘাটে জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনতে পেরে খুশি সবাই। তাছাড়া কমদামে কিনে বেশি দামে বিক্রির আশায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ইলিশের মৌসুমি ব্যাপারীরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, উপকূলের প্রায় দশ হাজারেরও বেশি জেলে গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ ধরেছেন। ইতোমধ্যে ইলিশ ভর্তি ২৮০টি নৌকা স্থানীয় ঘাটে ভিড়েছে।
তাছাড়া সাত্তার মাঝির ঘাটে ৪৫টি, ফকিরহাটে ১৭০টি, গলাকাটা ঘাটে ৩৫টি, পিচের মাথায় ৩৫টি ও বাছা মাঝির ঘাটে ৪০টি নৌকা ইলিশ মাছ নিয়ে ভিড়েছে। পারকি ও জুঁইদণ্ডী এলাকাতেও ভিড়েছে ইলিশ ভর্তি নৌকা।
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে সমুদ্রের উপকূলে উঠান মাঝির ঘাট ও সাত্তার মাঝির ঘাট দুটি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ কিনতে সেখানে ভিড় করেছেন শত শত মানুষ। ঘাটে মাছ কেনার অপেক্ষায় আছেন মৌসুমি ইলিশ ব্যবসায়ীরাও। তবে দাদনদারের হাতেই কম দামে মাছ তুলে দিচ্ছেন অধিকাংশ জেলে।
ইলিশ মাছ ব্যবসায়ী মো. ফোরকান জানান, পূর্ণিমা ঘিরে বঙ্গোপসাগরে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। ছোট বড় সকল সাইজের ইলিশ আছে। এখানে ক্রেতারা ইচ্ছেমতো সাইজে এবং ভিন্ন ভিন্ন দামে ইলিশ কিনতে পারছে।
আড়তদার শেখ আবদুল্লাহ জানান, এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। ৭শ-৮শ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭ শ টাকা কেজি দরে। ৫শ গ্রামের নিচে হলে ৩শ-সাড়ে ৩শ টাকা কেজি এবং ১৫০ থেকে ২শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ঝাটকা ইলিশ।
স্থানী জেলেরা জানান, একদিকে করোনা ভাইরাস অন্যদিকে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরতে না পেরে হতাশ হয়েছিলাম। তবে সে হতাশা কেটে গেছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমা ঘিরে এখন প্রচুর পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক বলেন, আনোয়ারার উপকূলের জেলেরা চলতি মৌসুমে প্রায় ১শ টনের বেশি ইলিশ মাছ সংগ্রহ করেছে। আশা করছি, জেলেদের সকল হতাশা ও আর্থিক দৈন্যতা এবার দূর হবে।
আরএস/এমআই