‘সবাই এখন সাংবাদিক হতে চায়’
ডেস্ক নিউজ: দেশের নয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২৮ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পথচলা শুরু করলো জার্মান গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা ডি ডব্লিউ একাডেমীর দু’বছর মেয়াদী বিশেষ ফেলোশিপ।
জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী ‘লোকাল মিডিয়া হাব ফেলোশিপ ইন্ডাকশন ওয়ার্কশপ’-এ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে খ্যাতিমান সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দিন বলেন, “সবাই আজ সাংবাদিক হতে চায়… কিন্তু সবাই পারে না। দিনের শেষে, সাংবাদিকদের ভূমিকা একজন ওয়াচডগ এর, এবং এটি একটি কঠিন কাজ। এটা দেখে ভালো লাগছে যে আপনারা এতোজন সাংবাদিক হওয়ার সেই কষ্ট স্বীকার করতে প্রস্তত।”
দেশজুড়ে সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীদেরকে ‘পূর্ণাঙ্গ সাংবাদিক’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এ বছর জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার ডয়চে ভেলের গণমাধ্যম উন্নয়ন শাখা ডি ডব্লিউ একাডেমী বাংলাদেশে “লোকাল মিডিয়া হাব ফেলোশিপ” চালু করে।
সাংবাদিকতা পড়ানো হয় এমন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়, এবং কঠোর নির্বাচন প্রক্রিয়ার পর ২৮ জনকে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।
শুক্রবারের “ইন্ডাকশন ওয়ার্কশপ” ছিল ফেলোশিপের প্রথম কার্যক্রম।
আগামী দুই বছরের মধ্যে, ফেলোরা দেশ-বিদেশের শীর্ষ সাংবাদিক এবং প্রশিক্ষকদের নির্দেশনায় সাংবাদিকতার বিভিন্ন দক্ষতা ও কৌশল অনুশীলন করবে এবং মূলধারার মিডিয়া এবং তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পোর্টালের জন্য একাধিক মাধ্যমে কাজ করবেন।
ডি ডব্লিউ একাডেমীর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (বাংলাদেশ) প্রিয়া এসেলবর্ন; সিনিয়র পরামর্শক লুৎফা আহমেদ; রেডিও ভূমির স্টেশন প্রধান শামস সুমন; এবং ডি ডব্লিউ বাংলা সার্ভিসের সাংবাদিক আরাফাতুল ইসলামও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন।
ডি ডব্লিউ একাডেমী ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা এবং চর্চা উন্নত করার লক্ষ্যে এবং মুক্ত গণমাধ্যমকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে সাংবাদিকতার পাঠ্যক্রম সংস্কার, কমিউনিটি রেডিও সাংবাদিকদের সক্ষমতা উন্নয়ন, সাংবাদিকতা মাতকদের জন্য শীর্ষস্থানীয় নিউজরুমে
ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা, পেশাজীবী এবং নাগরিক সাংবাদিকদের জন্য একটি অনলাইন কোর্স তৈরি, সাংবাদিকতার শিক্ষক ও সাংবাদিকদের নিয়ে তিনটি নেটওয়ার্কিং কনফারেন্স ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের জন্য অসংখ্য প্রশিক্ষণ আয়োজন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
এনএনআর/এমআই