পরিবহন ধর্মঘট : স্থবির চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্যপরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের কর্মবিরতি। তাদের কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। ফলে কিছুটা স্থবির রয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মবিরতি চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজি উল্লাহ বলেন, ১৫ দফা দাবিতে আমাদের দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি চলছে। যেটি আগামীকাল সকাল ৬টা পর্যন্ত চলবে। আজকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি সেখানে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত আসবে।
এদিকে কর্মবিরতির কারণে সারাদেশে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরেও পণ্য নিয়ে কোনো গাড়ি প্রবেশ করছে না এবং বের হচ্ছে না। তবে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ আছে। কিন্তু বন্দরের অভ্যন্তরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামাসহ বাকি সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, পণ্য পরিবহনের কর্মবিরতির কারণে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি বন্ধ আছে। ডিপোতে কনটেইনার যাওয়া ও ডিপো থেকে রফতানির কনটেইনার আসা বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে ছোট ছোট কাজগুলো চলছে।
অপরদিকে সংগঠন দুইটির ১৫ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবি হল- মোটরযান মালিকদের ওপর আরোপিত অগ্রিম আয়কর বা বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে বাতিল করা, আদায় করা বর্ধিত কর স্ব স্ব মালিককে ফেরত দেয়া, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি বন্ধ করা, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মতো রেশনিং সুবিধার আওতায় আনা, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্যপরিবহন শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কের নিরাপদ দূরত্বে বিশ্রামাগার ও কার্ভাডভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার টার্মিনাল নির্মাণ করাসহ ইত্যাদি।
এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কদমতলীতে আন্তঃজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ৭২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দেন তারা।
এসএএস/জেএইচ/চখ