চট্টলা ডেস্ক: গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ২৪৬ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২১১ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন।
মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সারাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ হাজার ২২২ জন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ রোগীই রাজধানীর বাসিন্দা। মোট ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে ১৫ হাজার ১৩২ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৯ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৪৬ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩১ জনে। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৮৩৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৯৫ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে ৩২ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বছর শুরু হয়। জুনে এটা ১৭২ জনে ওঠে। জুলাই মাসে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৮৬ জন। তাতে সব মিলিয়ে এ বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৫৮ জন।
জুলাই থেকেই পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে। আগস্টে এসে চিত্রটি উদ্বেগজনক হয়ে পড়ে। ওই মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৯৮ জনে। এরপর সেপ্টেম্বর মাসের এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৮৬৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, বছরের প্রথম সাত মাসে ১২ জনের মৃত্যু হলেও পরের এক মাসেই (আগস্ট) ৩৩ জনের মৃত্যু হয়। এমনকি চলতি মাসের আজ পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সবমিলে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে চলতি বছর ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেঙ্গুতে দেশে সর্ব্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তের বছর ছিল ২০১৯ সাল। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জনের মৃত্যু ও এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাছাড়া ২০০২ সালে মারা গেছে ৫৮ জন এবং ২০০১ সালে ৪৪ জন মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
জেএইচ/চখ