দুদকের মামলায় জামিন পেলেন কেয়া কসমেটিকসের চেয়ারম্যান
ডেস্ক নিউজ: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্জিত সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কেয়া কসমেটিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও তাদের সন্তানদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। দম্পতির তিন সন্তান হলেন, মো. মাসুম পাঠান, মেয়ে খালেদা পরভীন ও তাসনীম কেয়া।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আগাম জামিন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নিতাই রায় চৌধুরী।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, এ কে এম ফজলুল হক, ওমর ফারুক ও আসিফ হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আবদুল খালেক পাঠান ও তার স্ত্রীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। যাতে তারা বিদেশ যেতে না পারে। এছাড়া তাদের সন্তানদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এর আগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শফি উল্লাহ বাদী হয়ে পৃথক পাঁচটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারাসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ২০১২ এর ৪(২) ধারায় আবদুল খালেক পাঠান, তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
আরএস/এমআই