চট্টগ্রামে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি বেড়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, লকডাউন পরবর্তী চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানি আরও এক দফা বেড়েছে।
আজ শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে যাত্রী অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘যাত্রী হয়রানি ও ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধের পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংগঠনের মহাসচিব বলেন, চট্টগ্রামের শহরতলীতে যারা বসবাস করে তারা প্রায় প্রতিদিনই গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, নৈরাজ্যের হাত প্রসারিত করার সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বর্তমানে সব বাস নেটওয়ার্ক ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
তিনি অনতিবিলম্বে এসব ছোট যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করে মানসম্মত ৪০০ নতুন বাস নামানোর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোকতার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, যানবাহনের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, শ্রেণি বৈষম্য এবং রাস্তাঘাটে নির্বিঘ্ন চলাচলে আইনে বাধ্যবাধকতা থাকলেও আমাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতায় যাত্রী অধিকার ভুলণ্ঠিত হচ্ছে।
এসময় তিনি বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতি ও ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতায় সড়কে যানজট, জনজট, ফুটপাত বেদখলসহ নানা হয়রানীর চিত্র তুলে ধরেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বারভিডার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেলা পরিষদ সদস্য জাফর আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবেশবিদ ড. ইদ্রিস আলী, যাত্রী কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম মহানগর সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. রাজা মিয়া, সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এসএম নুরুল আমিন, সহ-সভাপতি সাংবাদিক ওসমান জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
আরএস/এমআই