বাজারে ডিম ও মুরগির দাম বৃদ্ধি,শীতের আগাম সবজিও চড়া
নিজস্ব প্রতিবেদক: সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি বাজারেই মুরগি ও ডিমের মূল্য উর্দ্ধগতিতে । পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে আসা শীতের বেশ কিছু আগাম সবজি। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।
আজ শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজার ও বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজি আগের সপ্তাহের দামে বিক্রি হলেও শীতের আগাম কিছু সবজি কিনতে মূল্য দিতে হচ্ছে চড়া। বিশেষ করে টমেটো, শিম, ফুলকপি ও গাজরের দাম সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে।
গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি টমেটো ৮০ থেকে ৯০ টাকায় ক্রয় করতে পারলেও এ সপ্তাহে দাম বেড়ে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে গাজর বিক্রি হচ্ছে এক কেজি ৮০ টাকা দরে। সিম ১২০ টাকা এবং ফুলকপির কেজিও ১০০ টাকার উপরে।
তাছাড়া প্রতিকেজি (গোল) বেগুন ৮০ টাকা, লম্বা বেগুন ৫০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। এ সব বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি।
প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৮০ টাকা ও কাকরোল ৮০ থেকে ৬০ টাকা।
এদিকে দীর্ঘদিন পর হোটেল, রেস্টুরেন্ট খোলা থাকায় মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি (কক) মুরগির দাম বেড়ে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৭০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ২৩০ টাকা।
বহদ্দারহাট বাজারের মুরগি বিক্রেতা আরাফাত জুয়েল বলেন, খামারিদের সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম। তাছাড়া চাহিদা অনুযায়ী বাজারে মুরগির সরবরাহ কম। মুরগির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানান এ বিক্রেতা।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৬০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দামে বেড়েছে ডিমের। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়।
বহদ্দারহাট বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, হলুদ ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এসব বাজারে কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। বাজারে গতসপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা আটার। প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায়। অন্যদিকে ভোজ্যতেলের দাম কমছেই না। কেজিপ্রতি ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল।
রেয়াজউদ্দিন বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়।
মাছের বাজারে সিলভার কার্প ১৫৫ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, চিংড়ি ও গলদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, পাবদা ৩৭০ থেকে ৪২০ টাকা, ইলিশ মাছ ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা, রুই মাছ ওজনভেদে প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, কাতল মাছ ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
জেএইচ/চখ