সমাপ্ত হল সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন
চট্টলা ডেস্ক: সাত কার্যদিবসে নয়টি বিল পাসের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হল একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন।বৃহস্পতিবার দুপুরে অধিবেশন সমাপ্তির বিষয়ে রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শুনিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
এর আগে অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের।
অধিবেশন সমাপনীর আগে ১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণের ভিডিওচিত্র অধিবেশন কক্ষের স্ক্রিনে দেখানো হয়।
গত ১ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরুর পর দুইজন সংসদ সদস্য মারা যাওয়ার কারণে দুই দফা মুলতবি করা হয়।
সংসদ সদস্য অধ্যাপক আলী আশরাফের মৃত্যুতে প্রথম দিনের বৈঠক এবং হাসিবুর রহমান স্বপনের মৃত্যুতে পরদিন ২ সেপ্টেম্বরের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
টানা নয় দিন বিরতির পর ১৪ সেপ্টেম্বর সংসদ বসলেও জাতীয় পার্টির (জাপা) সংরক্ষিত আসনের এমপি অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় সংসদের রীতি অনুযায়ী সেদিন অন্যান্য কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। শোক প্রস্তাবের আলোচনার পর মুলতবি হয় সংসদ।
চলতি অধিবেশন মাত্র চার কার্যদিবস চালিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর শেষ করার পরিকল্পনা থাকলেও সংসদে শোকপ্রস্তাব গ্রহণের কারণে সেটা বাড়াতে হয়।
তিনটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে স্পিকার ৫ সেপ্টেম্বরে অস্ট্রিয়া যাওয়ার কর্মসূচি থাকার কারণেই মুলত বিরতি দেয়া হয়।
এই অধিবেশনে কার্যদিবস ছিলো সাতটি। নয়টি বিল পাস হয়। চারটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি তাদের প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপিত হয়।
৭১ বিধিতে ৩১টি নোটিস পাওয়া যায় এ অধিবেশনে, তবে একটিও আলোচনা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য মোট ২৪টি প্রশ্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে তিনি জবাব দেন ১৬টির। অন্য মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ৫৮৪টি। মন্ত্রীরা ৩৮৯টি প্রশ্নের জবাব দেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মহামারীকালের অন্য অধিবেশনগুলোর মত এবারও সীমিত সংখ্যক সংসদ সদস্য অংশ নেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষায় নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া সংসদ সদস্যরাই সংসদের বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার শুক্রবারও জাতীয় সংসদের বৈঠক বসে। সাংবাদিকরা এবারও সংসদের বৈঠকের সংবাদ সংগ্রহের জন্য সংসদ ভবনে প্রবেশের অনুমতি পাননি।সংসদ টেলিভিশনের সরাসরি সম্প্রচারে অধিবেশনের কার্যক্রম দেখে সংবাদ সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়েছিল সংসদ সচিবালয়।
জেএইচ/চখ